গ্রেফতার: মোস্তাক আহমেদ। বুধবার। ছবি: নির্মল বসু
ভিন্ রাজ্যে পুলিশকে খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরা পড়ল বসিরহাট স্টেশন থেকে।
বছর চৌত্রিশের মোস্তাক আহমেদের বাড়ি হরিয়ানার নুঁহ জেলার পুনহনা থানার বাদলি গ্রামে। দাগি অপরাধী হিসাবে এলাকায় ‘নামডাক’ আছে তার। পুলিশ কর্মীকে খুন-সহ ২৫টিরও বেশি অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
হরিয়ানা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইনস্পেক্টর নরেশ কুমার বলেন, ‘‘২০০৮ সালে কনস্টেবল ওমর কুমারের গলায় গুলি চালিয়ে খুন করে পালায় মোস্তাক। ধরা পড়ার পরে যাবজ্জীবন সাজা পায়। জেল থেকে প্যারোলে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিল। সেখান থেকেই পালায়।’’
তিনি জানান, ১৯ জুন মোস্তাক বাড়ি ফিরেছে বলে খবর এসেছিল পুলিশের কাছে। তাকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। দুই পুলিশ কর্মীকে গুলি করে ফের পিঠটান দেয় মোস্তাক।
হাল ছাড়েনি পুলিশ। মোস্তাকের মোবাইলের উপরে নজরদারি চালিয়ে জানা যায়, বসিরহাট হয়ে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষছে সে। সেই মতো বুধবার সকালে বসিরহাট পুলিশের সহায়তায় স্টেশনে নজর রাখছিল হরিয়ানা পুলিশ। ট্রেনে ওঠার মুখে ঘিরে ফেলা হয় তাকে। বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে মোস্তাককে হরিয়ানায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, আড়াইশো দুষ্কৃতী নিয়ে একটি দল চালায় মোস্তাক। খুন-জখম-তোলাবাজি— নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে তার নাম জড়িয়েছে। মোস্তাকের নামে এলাকার ব্যবসায়ী মহল ভয়ে কাঁপে।