Viral Mathematics Question Paper

শুভেন্দু-নওশাদ ‘অঙ্ক’ নিয়ে সরব ছিল তৃণমূল, এ বার নন্দীগ্রামের স্কুলের প্রশ্নেও তার উল্লেখ, বিতর্ক

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির যোগসূত্র নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব শাসক দল তৃণমূল। এ বার নন্দীগ্রামের স্কুলের প্রশ্নেও তারই ছোঁয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৬
Share:

ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের ছবি। —নিজস্ব চিত্র।

দশম শ্রেণির গণিতের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন ‘ভাইরাল’ সমাজমাধ্যমে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কারণ, ওই প্রশ্নে শুভেন্দু ও নওশাদের যৌথ ব্যবসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাদের ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। কারও পদবি উল্লেখ করা না হলেও পঞ্চায়েত ভোটের পরে এই প্রশ্নে অনেকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি খুঁজে পাচ্ছেন।

Advertisement

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির যোগসূত্র নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব শাসক দল তৃণমূল। এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়েছে দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন। সেখানে উল্লেখ আছে, শুভেন্দু ও নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পরে ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর ক্ষতি হয় (৪৫টাকা/৩০টাকা/ ২৫টাকা/৪০টাকা)। অর্থাৎ ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে পড়ুয়াকে। প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে মহেশপুর হাই স্কুলের।নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মহেশপুর হাই স্কুল নামে একটি স্কুল আছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস দাস বলেন, ‘‘এই প্রশ্নপত্র আমার স্কুলের। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। তবে ওই প্রশ্নে এখনও পরীক্ষা হয়নি। প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করা হবে। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট দু’জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ ওই স্কুলের এক গণিতের শিক্ষক রাজীব বলেন, ‘‘আমি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করে জমা দিয়েছি স্কুলে তার সঙ্গে ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই।”

প্রশ্নটি পাটিগণিতের। প্রশ্নটি লাভ-ক্ষতির। রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির একটা বড় নির্ধারক পাটিগণিত। কারও পদবি উল্লেখ নেই। তবে শুধু নামেই তুফান উঠছে রাজনীতিতে। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ বলেন, ‘‘বিষয়টি আমি দেখেছি। কবেকার প্রশ্নপত্র, সেটা তো বলতে পারব না। দেখলাম দশম শ্রেণির অঙ্কের বইয়ে ২০৪ নম্বর পৃষ্ঠাতেও অনেক আগে থেকেই নাম রয়েছে। যদি জেনে বুঝে আমাদের নাম দিয়ে করে, তা হলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তবে এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আবার এমন হতে পারে আমার নামটা ওদের ভাল লেগেছে, তাই করেছে।’’ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘তৃণমূল বাচ্চাদের মধ্যেও রাজনীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজনীতির ময়দানটা পুরোপুরি আলাদা। স্কুলের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে রাজনীতির কোনও মিল থাকুক, তা কাম্য নয়। যে বা যারাই করুক এটা করা উচিত হয়নি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন