Sayani Ghosh

Sayani Ghosh: অভিনেত্রী থেকে নেত্রী, যুব তৃণমূলের দায়িত্বে সায়নী ঘোষ

নীলবাড়ির লড়াইয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সায়নী। হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপে মমতার সভায় তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২১ ১৬:৫৫
Share:

সায়নী ঘোষ

যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে নিয়ে আসা হল অভিনেত্রী-রাজনীতিক সায়নী ঘোষকে। শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সায়নীর অব্যবহিত আগে ওই পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে শাখা সংগঠন থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মূল সংগঠনে। তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের শূন্য পদেই সায়নীর নেত্রী হিসেবে অভিষেক ঘটল।

Advertisement

নীলবাড়ির লড়াইয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সায়নী। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ মাঠে সভা ছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই দিনের সভায় মমতার উপস্থিতিতে সায়নী তৃণমূলে যোগ দেন। সেই প্রথম তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান। তার আগে বিভিন্ন বিষয়ে সায়নীর মন্তব্য শুনে তাঁকে খানিক ‘বামঘেঁষা’ বলেই মনে করতেন লোকজন। একটি ছবিকে অলিখিত ভাবে ‘নিষিদ্ধ’ করার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধেও তাঁকে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল।

সেই সায়নীকেই মমতা আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করেন। সেখানে যদিও সায়নী হেরে যান বিজেপি-র অগ্নিমিত্রা পালের কাছে। কিন্তু তৃণমূল এবং আসানসোলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেননি। বরং করোনা এবং কার্যত লকডাউনের পরিস্থিতিতে বার বারই গিয়েছেন আসানসোল। ত্রাণ বিলি করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নানা সমস্যায় তিনি পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই আবহেই তাঁকে দলের যুব সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। যুব তৃণমূূলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে সায়নী বলেন, ‘‘তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। দায়িত্ব যখন পেয়েছি, এই মুহূর্ত থেকে কাজ শুরু করতে চাই।’’

Advertisement

২০১৪ সালে অভিষেক যুব তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পান। তাঁর আগে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের পর সে বছরের ৩০ মে নেতাজি ইন্ডোরের এক বৈঠকে তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুভেন্দুকে তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই সময়ে অভিষেক সর্বভারতীয় তৃণমূল যুবার সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের অন্দরের সমীকরণে যুব সভাপতি পদ থেকে শুভেন্দুকে সরানোয় আসলে অভিষেকের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। সাংসদ অভিষেককে তখন তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে আনা হলেও পরে তাঁকে যুব তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। তার ঠিক সাত বছরের মাথায় ওই পদ ছেড়ে অভিষেক গেলেন সর্বভারতীয় পদে। তাঁর জুতোয় পা গলালেন সায়নী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন