TMC

নবীন-প্রবীণ ‘মিলিয়ে’ ভোট প্রস্তুতি তৃণমূলে

দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণের টানাপড়েন রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ‘ফাঁকে’ প্রলেপ দিয়ে এগোনোর বার্তাই দিলেন দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের পুরনো নেতাদের সঙ্গে রেখেই পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব বণ্টন শুরু করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক জেলাতেই পুরনো নেতাদের দলের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। ভোটের প্রস্তুতির একেবারে প্রাথমিক পর্বে তাঁরা নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারতালিকা সংগ্রহ করে এলাকা ভিত্তিক বণ্টনের কাজ করবেন।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণের টানাপড়েন রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ‘ফাঁকে’ প্রলেপ দিয়ে এগোনোর বার্তাই দিলেন দলীয় নেতৃত্ব। ভোটের মূল কাজ অর্থাৎ প্রার্থী বাছাই ইত্যাদি নিয়ে দলের কাজকর্ম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে একেবারে শুরুতে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত প্রস্তুতির বড় অংশে সামনে রাখা হয়েছে পুরনোদের। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বৃহস্পতিবার সেই তালিকা প্রকাশ করেছেন। তালিকায় আছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, অরূপ বিশ্বাস, সৌমেন মহাপাত্রের মতো পুরনো নেতাদের অনেকে।

উত্তর ২৪ পরগনা সাংগঠনিক দিক থেকে চারটি জেলায় ভেঙেছে তৃণমূল। সাংগঠনিক এই ব্যবস্থার আগে একক ভাবে দায়িত্বে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। পরে চারটি কমিটির সভাপতি হয়েছেন চার জন। তার মধ্যে দমদম-ব্যারাকপুরের সভাপতি পার্থ ভৌমিক-সহ একাধিক নতুন নবীন নেতা রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বদলে নির্বাচন কমিশনে দলের প্রতিনিধি হিসেবে জ্যোতিপ্রিয়কে বেছে নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে কলকাতায় এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবাশিস কুমারকে।

Advertisement

হাওড়া জেলায় অবিভক্ত সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি অরূপ রায়ও এই তালিকায় রয়েছেন। জেলা সংগঠন ভেঙে শহর ও গ্রামীণ দু’টি কমিটি করার পরে একটির দায়িত্ব পেয়েছিলেন নবীন নেতা তথা মন্ত্রী পুলক রায়। এ ক্ষেত্রে অরূপকে একক ভাবে গোটা হাওড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও মন্ত্রী তথা আর এক পুরনো নেতা বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপকে। পশ্চিম বর্ধমানে দলের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রবীণ নেতা মলয়কে। পশ্চিম মেদিনীপুরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরনো নেতা অজিত মাইতিকেও। সাংগঠনিক ভাবে দু’ভাগে ভাগ করা হলেও গোটা নদিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।

অভিষেকের এই সিদ্ধান্ত নজরে এসেছে রাজ্য দলের নেতাদেরও। এক নেতার কথায়, ‘‘কখনওই পুরনোদের বাদ দেওয়ার কোনও প্রক্রিয়া তৃণমূলে হয়নি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বলেছেন, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় তৈরি করেই দলের কাজ করতে হবে। পুরনোদের অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে নতুনেরা আগামী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবেন। তা-ই হচ্ছে।’’

একাধিক জেলায় নতুন প্রজন্মের নেতাদেরও এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ের মতোই পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় নবীন নেতারা প্রতিনিধি হিসেবে জায়গা পেয়েছেন। হুগলিতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আর অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে দলের প্রতিনিধি হিসেবে এই কাজ করবেন অভিজিৎ সিংহ। অন্য দিকে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত কোচবিহারের মতো জেলায় উদয়ন গুহের মতো অন্য দল থেকে আসা তৃতীয় এক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে এই কাজের জন্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন