বিজেপির নিশানায় অভিষেক, পাল্টা চ্যালেঞ্জ তৃণমূলেরও

দুই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে বিজেপি নেতারা এ বার সরাসরি যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে এনেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

দুই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এ বার তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে এনেছেন বিজেপি নেতারা।

পুরুলিয়ার বলরামপুরে দলের দুই কর্মীর অপমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুর চড়়াচ্ছে বিজেপি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তৃণমূলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘সাহস থাকলে করে দেখাক’!

Advertisement

দুই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে বিজেপি নেতারা এ বার সরাসরি যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে এনেছেন। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট উল্লেখ করে পুলিশ বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারের মৃত্যুকে যে আত্মহত্যা বলেছে, সেই বক্তব্য কৈলাসেরা মানতে নারাজ। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে কৈলাস সোমবার বলেন, ‘‘পুরুলিয়াকে বিরোধীশূন্য করার কথা বলেছিলেন অভিষেক। তার পরপরই আমাদের দু’জন কর্মী খুন হন। এই খুনের পিছনে উনি (অভিষেক) দায়ী। আমরা আদালতে যাব। প্রয়োজনে সু্প্রিম কোর্টে যাব। অভিষেককে হাতক়ড়া পরানো না পর্যন্ত লড়াই চলবে!’’ মামলার একই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

বিজেপি নেতৃত্বের এমন হুঁশিয়ারির জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিষেক কোনও হুমকি দেননি। তাঁর বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক। আর প্ররোচনার অভিযোগ যদি আসে, তা হলে দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলা জুড়়ে যা বলে বেড়াচ্ছেন, তার জন্য তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়।’’ রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ‘‘বিজেপির শীর্ষ নেতা খুনের অভিযোগে জেল খেটেছেন। ওঁদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না! যে যা খুশি তদন্ত করুক, আমরাও তৈরি আছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: আত্মহত্যাই! বলতে জরুরি ভিসেরা রিপোর্টও

দু’টি ঘটনায় ‘দোষী’দের ধরার দাবিতে আজ, মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে চার দিনের অবস্থান-বিক্ষোভে বসতে চলেছে জেলা বিজেপি। বলরামপুরের সব গ্রামেই দলীয় কর্মীদের রাত-পাহারা শুরু করতে বলেছে তারা। ইতিমধ্যে সুপুরডি (ত্রিলোচন মাহাতোর গ্রাম), ডাভা (দুলাল কুমারের বাড়ি) গ্রামে পাহারা শুরুও হয়েছে। রাতে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কর্মসমিতির সদস্য বিপি সিংহদেও দাবি করেন, দুলাল ‘খুনের’ ঘটনায় এলাকার ছয় তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলরামপুর থানায়।

বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘দুলালের মৃত্যুর তিন দিন আগে বলরামপুরেরই সুপুরডি গ্রামের ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁর টি-শার্টে লেখা ছিল ‘১৮ বছর বয়সে বিজেপি করা, এ বার বোঝ’। সেই ময়না-তদন্তের রিপোর্ট কেন পুলিশ সামনে আনছে না?’’

পুলিশ সুপার অবশ্য খুনের মামলা দায়ের হওয়া-সহ সব প্রশ্নের উত্তরেই বলেছেন, ‘‘বিষয়টি সিআইডি দেখছে। যা বলার ওরাই বলবে।’’ এডিজি (সিআইডি) সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সদর দফতর থেকে অফিসারেরা গিয়ে শিবির করে তদন্ত শুরু করেছেন। সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন