রাজ্যসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে টিকিট পাচ্ছেন কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের নেতা তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা নির্বাচনে ওয়াকওভার নয়, পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস। নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে বামেদের সমর্থন করা হবে, এমন প্রস্তাব খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীই দিয়েছিলেন। কিন্তু, কংগ্রেসের সমর্থন নিতে সিপিএম নারাজ। তাই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে চলেছে বিধান ভবন। নিয়মরক্ষার লড়াই নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্তত একটি আসনে জেতার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই যে লড়াইতে নামছে কংগ্রেস, প্রার্থীর নাম থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের নেতা তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি রাজ্যসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে টিকিট পাচ্ছেন।
প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করার বিষয়ে আজই রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। রাহুল এখন দিল্লিতে নেই। তাই ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা হয় অধীরের। কংগ্রেস সূত্রে খবর, চার-পাঁচটি নাম আলোচনায় ছিল। কোন নাম এ সিলমোহর পড়বে, অধীরকেই সে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন রাহুল। অধীর চৌধুরী বেছে নেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে।
পাঁচটি আসনে নির্বাচন হচ্ছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আসন সংখ্যার নিরিখে চারটি আসনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। পঞ্চম আসনটি বিরোধীদের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কংগ্রেস এবং বামেরা যদি আলাদা না লড়ে যৌথ প্রার্থী ঘোষণা করত, তা হলে পঞ্চম আসন শাসক দলের হাতের বাইরে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু, সমঝোতা হয়নি। তৃণমূল পাঁচটি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। অতএব, কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এ রাজ্য থেকে লড়লেও, জিততে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
সরলেন বুদ্ধ-শ্যামলেরা, বয়স কমাল সিপিএম
গলদ শোধরায় না, কালি লাগায়! হতাশ ‘মূর্তিম্যান’
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। সেই হিসেব মাথায় রাখলে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনটিতে কংগ্রেসর জয়ই হওয়ার কথা। কিন্তু, কংগ্রেস নিজেদের বিধায়ক দল অটুট রাখতে পারেনি। গত দু’বছরে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক দল বদলে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। অনেকে ঘোষিত ভাবে দল না বদলাননি, কিন্তু কার্যত তৃণমূলে সামিল হয়ে গিয়েছেন।
যে সব কংগ্রেস বিধায়ক দল বদলেছেন, তাঁরা যে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে ভোট দেবেন না, সে কথা বলাই বাহুল্য। আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক ক্রস ভোটিং করতে পারেন বলে প্রদেশ কংগ্রেসের আশঙ্কা রয়েছে। তবে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে কোনও জেতানোর জন্য রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে ঘর গুছিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা যে কংগ্রেস করবে, তাও স্পষ্ট।