বাড়ছে এসি-থ্রি, টু-টিয়ার হারাতে পারে রাজধানীরা

ভাড়া নেহাত কম নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে কখনও কখনও উড়ানের দামের সমান হয়ে যায় সেই ভাড়া। সেই তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্য কম।  আর সেই কারণেই রাজধানী, শতাব্দী বা দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে ‘এসি-টু টিয়ার’ কামরা থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন বলে রেল মন্ত্রকের দাবি

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

ফাইল চিত্র।

ভাড়া নেহাত কম নয়। প্রতিযোগিতার বাজারে কখনও কখনও উড়ানের দামের সমান হয়ে যায় সেই ভাড়া। সেই তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্য কম। আর সেই কারণেই রাজধানী, শতাব্দী বা দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে ‘এসি-টু টিয়ার’ কামরা থেকে যাত্রীরা মুখ ফেরাচ্ছেন বলে রেল মন্ত্রকের দাবি।ক্ষতির বোঝা এড়াতে ‘প্রিমিয়ার’ শ্রেণির এই ট্রেনগুলি থেকে ‘এসি-টু’ কামরা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে রেল মন্ত্রক। তার বদলে ‘এসি-থ্রি টিয়ার’ কামরার সংখ্যা বাড়াতে চায় রেল।
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, ‘ফ্লেক্সি-ফেয়ার’ চালু হওয়ার পর প্রিমিয়ার শ্রেণির ট্রেনগুলিতে ‘এসি-টু’ কামরার চাহিদা কমেছে। ফলে বেশির ভাগ সময় ওই শ্রেণির কামরা ফাঁকা যাচ্ছে। কারণ ‘ফ্লেক্সি-ফেয়ার’ বা পরিবর্তনশীল ভাড়ার নিয়ম মেনে প্রথমে ভাড়া নির্দিষ্ট অঙ্কের থাকে। টিকিটের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বেড়ে যায়। সেই বর্ধিত ভাড়ায় ‘এসি-টু’তে যেতে আগ্রহী নন যাত্রীরা। তুলনায় ভাড়ার এই নয়া নিয়মে বেড়েছে ‘এসি-থ্রি’ কামরার চাহিদা।
কিন্ত কেন এই অবস্থা? রেল কর্তাদের একাংশের মতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির বাতানুকূল কামরার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। তুলনায় ভাড়ার ফারাক বেশি। ‘ফ্লেক্সি-ফেয়ার’ চালু হওয়ার পর তা আরও বেড়েছে। নতুন ব্যবস্থায় বাতানুকূল কামরার মাত্র ১০ শতাংশ আসনের টিকিট মূল দামে বিক্রি হয়। ওই টিকিট বিক্রি হয়ে গেলে প্রতি পর্বে ১০ শতাংশ করে ভাড়া বাড়তে থাকে। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত তা বাড়ে। তুলনায় ‘এসি-থ্রি’ কামরার ক্ষেত্রে ভাড়ার বৃদ্ধির হার মূল ভাড়ার সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। অতিরিক্ত ভাড়ার জন্য মাঝেমধ্যেই ‘এসি-টু’ কামরার ভাড়ার অঙ্ক বিমানের ইকনমি শ্রেণিকে ছুঁয়ে ফেলছে বলেও দেখা গিয়েছে।
এই অবস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণির বাতানুকূল কামরা নিয়ে যাত্রীদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা চিন্তায় রেখেছে রেলকে। সংস্থার এক কর্তা বলেন,“ফ্লেক্সি-ফেয়ার চালু হওয়ার পর রেলের আয় বাড়লেও যাত্রী কমেছে। যাত্রী টানার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিমানের কাছে হেরে যাওয়া ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রেলের। একবার বিমানে যাতায়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে ওই যাত্রীদের রেলে ফেরানো মুশকিল।”
ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বিতীয় শ্রেণির বাতানুকূল কামরা (এসি-টু) তুলে দিয়ে তৃতীয় শ্রেণির বাতানকূল কামরা (এসি-থ্রি)-র সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে রেল মন্ত্রক। পাশাপাশি ওই শ্রেণির কামরার স্বাচ্ছন্দ্য খানিকটা বাড়িয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পাওয়ার পরিকল্পনাও করছে রেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন