ফাইল চিত্র।
কলকাতা থেকে প্রথমে বালেশ্বর। সেখান থেকে সোজা ভুবনেশ্বর।
আপাতত সেখানেই ঠাঁই হয়েছে লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর। সকলের অলক্ষ্যে কলকাতা থেকে তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাঁকে সেখানে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের সামনে বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
এক সিবিআই-কর্তার কথায়, ‘‘আপাতত গৌতমকে ভুবনেশ্বরেই রাখা হবে। কারণ, লগ্নি সংস্থার কাজ নিয়ে মূল তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে ভুবনেশ্বর থেকেই। ওখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাকি অভিযুক্তদেরও।’’ সিবিআই মনে করছে, ভুবনেশ্বরে গৌতমকে জেরা করলে অভিযুক্ত হিসেবে নতুন কিছু নাম উঠে আসতে পারে। ভুবনেশ্বর আদালতে পেশ করা চার্জশিটে গৌতমের একটি ‘সিক্রেট ফান্ড’ বা গোপন তহবিলের উল্লেখ করেছে সিবিআই। রোজ ভ্যালির এক হিসেবরক্ষক ওই গোপন তহবিলের হদিস দেন। সিবিআই মনে করছে, ওই গোপন তহবিল থেকেই নতুন নাম উঠে আসতে পারে।
এ বার অবশ্য সিবিআই নয়, গৌতমকে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। তাদের ইকনমিক অফেন্স উইং (ইওডব্লিউ)-এর একটি মামলায় গৌতমকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভুবনেশ্বরে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের একটি দল তাঁকে বালেশ্বরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বুধবার তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। সোমবার ভুবনেশ্বরের আদালতে গৌতমকে হাজির করানো হবে। তখনই পুলিশের হাত থেকে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা সিবিআইয়ের।