জবাব: সিউড়ির কড়িধ্যায় তৃণমূলের জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বোলপুরের শিবপুরে জমি আন্দোলনকারীদের হাতে দলীয় কর্মীদের মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য বুধবার বিকেলে পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। পুলিশকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন কথা মতো কাজ না হলে জমি আন্দোলনকারীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেবেন। যদিও, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি। সাংবাদিকরা এই নিয়ে প্রশ্ন করতে অনুব্রতর জবাব, ‘‘পুলিশ নিশ্চয়ই গ্রেফতার করবে। কিন্তু, ওরা যদি পালিয়ে যায় তা হলে কী ভাবে ধরবে। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। আইন আইনের পথে চলবে।’’
সামনের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠন মজবুত করতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই জেলার প্রতিটি ব্লকে জনসভা করা হচ্ছে। অনুব্রতর দায়িত্বে জেলার ১৯টি এবং পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে আরও ৬টি মিলিয়ে মোট ২৫টি জনসভা করার কথা। চলতি মাসের ৪ তারিখ খয়রাশোল ব্লকে জনসভা দিয়ে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচির। তারই অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার বিকেলে সিউড়ি ১ কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের ছোড়া গ্রামে সভা ছিল।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি। বিরোধীদের অস্তিত্বকে আমলই দেননি। জানান, আসল লক্ষ্য পঞ্চায়েত নয়, লোকসভা ভোট। কিন্তু সভা শেষে সংবাদমাধ্যম যখন শিবপুর প্রসঙ্গ তোলেন তখন অনেক সাবধানী অনুব্রত। শিবপুরে পাল্টা সভা করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নকে আমলই দেননি অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘সভা করার কোনও যুক্তি আছে নাকি?’’