Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: মমতার বিরুদ্ধে পদ্মের প্রার্থী হতে কি রাজি? কী বলছেন ভবানীপুরে ‘চড়’ খাওয়া রুদ্রনীল

বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য খুব ভাল লড়াই দিতে পারেননি রুদ্রনীল। হেরেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২০
Share:

দলের নির্দেশের অপেক্ষায় রুদ্রনীল। নিজস্ব চিত্র।

ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন৩০ সেপ্টেম্বর। বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জয়ী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যখন ইস্তফা দিয়েছিলেন তখনই পরাজিত হলেও উপনির্বাচনে ফের প্রার্থী হতে তৈরি। জানিয়েছিলেন, দল বললেই তিনি রাজি। শনিবার নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে একই সুর রুদ্রনীলের। বললেন, ‘‘কে প্রার্থী হবেন সেটা দল ঠিক করবে। আর যদি আমায় বলে তবে আমি দাঁড়াতেই পারি। আমি তৈরি।’’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতে চাওয়া রুদ্রনীল বলেন,‘‘আমায় যদি প্রার্থী করা হয় তবে, দু’জন পরাজিত প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে।’’

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য খুব ভাল লড়াই দিতে পারেননি রুদ্রনীল। হেরেছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে। তৃণমূলের শোভনদেব পান ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট। রুদ্রনীল পেয়েছিলেন ৪৪ হাজার ৭৮৬ ভোট। তা সত্বেও তিনি যে লড়াই দিতে তৈরি তা জানিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘লড়াইটা হবে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-র। আর আমাদের দল যাঁকেই প্রার্থী করুক লড়াই হবে আমাদের আদর্শের সঙ্গেই। আমাকে বললে আমি দাঁড়াব, না হলে আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্য যিনি প্রার্থী হবেন তাঁর পাশে দাঁড়াব।’’ বিজেপি সূত্রে জানা যায়, ভোটে পরাজিত হওয়ার পরেও তিনি ভবানীপুরে সাংগঠনিক কাজ করতে চেয়েছিলেন। নেতৃত্ব তাতে সায়ও দিয়েছিলেন। সেই মতো ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিনি ভবানীপুরে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন রুদ্রনীল। কালীঘাট থানায় অভিযোগ জানিয়েবলেছিলেন, ‘‘ত্রাণ দেওয়ার অপরাধে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন একদল তৃণমূল কর্মী।’’ তৃণমূল অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

দীর্ঘ সময় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিলেন রুদ্রনীল। ২০২০ সালের শেষ দিক থেকেই বেসুরো গাইতে থাকেন তিনি। পরে দেখা যায়, বছরের একেবারে শেষে ৩০ ডিসেম্বর দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়ি গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছিল, একটা সময় পর্যন্ত হাওড়া জেলার কোনও আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একেবারে শেষ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় বিজেপি ভবানীপুর আসন দেয় রুদ্রনীলকে। জয় না পেলেও প্রচারে অনেক উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন।

Advertisement

প্রথম লড়াইয়ে হার মানতে হলেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে মমতার বিরুদ্ধে অংশ নিতে তৈরি রুদ্রনীল বলেন, ‘‘আমি দলের সৈনিক। কে প্রার্থী হবেন সে ব্যাপারে আমার কোনও মতামত নেই। আমি ব্যক্তি মমতার বিরুদ্ধে তো লড়াই করব না। যে দলে দুর্নীতির পাহাড় রয়েছে তার নেত্রীর বিরুদ্ধে লড়ব। তৃণমূলের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হওয়ার পিছনেও এটাই কারণ ছিল।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের উপরে বিজেপি যে প্রভাব খাটায় না বা খাটায়নি বুধবারের ঘোষণা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে।’’

ভোটে পরাজিত হওয়ার পরেও তিনি ভবানীপুরের মানুষের সঙ্গেই আছেন জানিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বস্তি এলাকায় ত্রাণ বিলির কাজও করেছি আমি। তাত তৃণমূলের বাধার মুখেও পড়ি। তবে আমি কোনও রাজনৈতিক রং না দেখেই কাজ করেছি। আমার সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন