Sukanya Mondal Arrest

শেষ তিন বার যাননি ইডির ডাকে, বুধবার দিল্লিতে হাজিরা দিতেই গ্রেফতার হলেন অনুব্রতের কন্যা

গত মার্চ মাসেই তাঁকে এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৪১
Share:

তিন বার ইডির ডাক এড়ালেও চতুর্থ বারে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ফাইল চিত্র।

শেষ তিন বারই এড়িয়ে গিয়েছিলেন ইডির তলব। তবে শেষ রক্ষা হল না চতুর্থ বারে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। একই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত-কন্যাকে। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেন। তার পরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

গত মার্চ মাসেই তাঁকে এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। তৃতীয় বারও তিনি ইডির তলব এড়ান। হাজিরা এড়ানোর কারণ হিসাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়, সুকন্যা শারীরিক ভাবে অসুস্থ।

Advertisement

গত বছর অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারা দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই (যিনি এখন ইডি হেফাজতে) দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়।

গত নভেম্বর মাসে গরু পাচার-কাণ্ডেই পর পর তিন দিন দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন সুকন্যা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, খাতায়-কলমে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির উৎস কী, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যাকে। দু’দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তৃণমূল নেতার মেয়ে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় তাঁকে বার বার ডাকা হয়। ওই দু’দিন ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (যিনি এখন ইডি হেফাজতে রয়েছেন)।

ইডির তরফে দাবি করা হয়, ২০১৪ সালের আগেও সুকন্যার বছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ লক্ষ টাকার মতো। গত দু’বছরে তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। সেই সূত্রেই জানা যায়, বোলপুরের একটি চালকলের মালিকানায় সুকন্যার নাম রয়েছে। দু’টি সংস্থারও ডিরেক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িট রয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত-যোগের তদন্তে নেমেই সুকন্যার এই বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল যে, অনুব্রতের গরু পাচার থেকে আয়ের অর্থে তাঁর দেহরক্ষী সহগল হোসেনের মতো সুকন্যারও সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন