তদন্তে অ্যাপোলোর একাধিক গাফিলতি প্রমাণিত: রাজ্য

তথ্য বিকৃতি এবং জাল নথি পেশের অভিযোগে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি অ্যাপোলোর তিন চিকিৎসক, দুই বিমা কর্মী এবং তিন স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ নিয়েও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০৩:১২
Share:

তথ্য বিকৃতি এবং জাল নথি পেশের অভিযোগে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি অ্যাপোলোর তিন চিকিৎসক, দুই বিমা কর্মী এবং তিন স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ নিয়েও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কাউন্সিলে যাওয়ার সুযোগও থাকছে।

Advertisement

সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে রাজ্য তিন জনের চূড়ান্ত কমিটি তৈরি করেছিল। শুক্রবারই তাদের রিপোর্ট স্বাস্থ্যসচিবের কাছে জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। পরে স্বাস্থ্যসচিব রাজেন্দ্র শুক্ল বলেন, ‘‘তদন্তে অ্যাপোলোর একাধিক গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে।’’ সূত্রের খবর, অ্যাপোলোর গাফিলতি রিপোর্টে যেমন পরিষ্কার, তেমনই ওই হাসপাতালের তিন চিকিৎসক-সহ আট জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগও আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মহুয়া মৈত্রকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে ‘ফেরার’ বাবুলকে ধরার নির্দেশ

Advertisement

এ দিন সকালে রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষকর্তারা নবান্নে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। যদিও সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অ্যাপোলোর রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা পড়েনি। স্বাস্থ্যকর্তারা এসেছিলেন ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে কথা বলতে।

সূত্রের খবর, অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতি, জাল নথি পেশের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ‘অ্যাঞ্জিও এম্বোলাইজেশন’ পরীক্ষার জন্য টাকা নেওয়া হলেও তা আদৌ করা হয়নি বলে প্রমাণ মিলেছে এবং ওই পরীক্ষার জাল সিডি জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রটি বলেন, ওষুধের ওভারডোজে সঞ্জয়ের যকৃত আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে সব চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি, তাঁদের নামেও বিল করা হয়েছে। অ্যাপোলোর তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও সঞ্জয়ের স্ত্রী রুবি বলেন, ‘‘আমাদের অভিযোগ যে সত্য ছিল, তা প্রমাণিত হচ্ছে।’’ সঞ্জয়ের চিকিৎসা বেশির ভাগ সময় জুনিয়র চিকিৎসকেরা করেছেন বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। এ দিন চার জুনিয়র চিকিৎসককে ডেকে পাঠায় ফুলবাগান থানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন