যাত্রী হারাচ্ছে ভোরের বাস

সোমবার ভোরে দৌলতাবাদের বালির ঘাটের দুর্ঘঘটনার পরে ভোরের বাসে যাত্রীর সংখ্যাটা কমেছে অনেকটাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডোমকল শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩১
Share:

বিলের ধারে অধীর অপেক্ষা।

ভোরের বাস মানে এখন এক আতঙ্ক। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও সেতুতে বাস উঠলে জানলা খুলে দিচ্ছেন যাত্রীরা। সামনের আসনের হাতল চেপে ধরে থাকছেন তাঁরা।

Advertisement

সোমবার ভোরে দৌলতাবাদের বালির ঘাটের দুর্ঘঘটনার পরে ভোরের বাসে যাত্রীর সংখ্যাটা কমেছে অনেকটাই। বিশেষ করে করিমপুর, জলঙ্গি-ডোমকল-ইসলামপুর রুটের বাসে সকালের দিকে যাত্রী সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে দাবি বাস মালিকদের সংগঠনের। বিশেষ কাজ না থাকলে মানুষ আর আতঙ্কে বাসে চড়তে চাইছে না। বুধবার কাজের দিনেও সেই সংখ্যাটা বাড়েনি। শুধু বালিরঘাটের দুর্ঘটনাই নয়, দিন কয়েক আগে নওদায়ও এমনই বাস দুর্ঘটায় মৃত্যু হয়েছিল ন’জনের।

ডোমকলের বাসিন্দা সুলেমান শেখ বলছেন, ‘‘আমার মতো অনেকে এখন বাস ছেড়ে সকালে মোটরবাইক নিয়ে বেরচ্ছি। কুশাবেড়িয়া থেকে সকালে বহরমপুর যাওয়া বেসরকারি বাসের কর্মী ইস্তাহার আলি বলেন, ‘‘অদ্ভুত ভাবে ওই ঘটনার পর দিন থেকে বাসে যাত্রী অনেক কম হচ্ছে। বহু নিয়মিত যাত্রীর সঙ্গে এ দিন দেখা হল। সকলেই বললেন, ‘এখন আর বাসে চড়ব না’।’’ জয়রামপুরঘাট-বহরমপুর রুটের একটি বেসরকারি বাসের কর্মী গৌতম মণ্ডলের কথায়, ‘‘সকালে বহরমপুর যাওয়ার যাত্রী প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর যাঁরা বাসে থাকছেন, তাঁরাও ভয়ে সিঁটিয়ে থাকছেন। সত্যি বলতে কী, আমাদেরও ভয় হচ্ছে।’’ ডোমকল এলাকার এক বাস মালিক হিমাংশু সরকারের কথায়, ‘‘খুব স্বাভাবিক বিষয়। এত বড় একটা ঘটনার পর মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করছে।’’ সোমবার সকালের দুর্ঘটনা প্রভাব ফেলেছে নদিয়ার করিমপুরেও। সকালের বাসে যাত্রীর সংখ্যা কমছে এখানেও। খুব প্রয়োজন ছাড়া গত দু’দিনে কেউ ভোরের বাসে যাতায়াত করছেন না। করিমপুর এর এক বাস কর্মী সত্যজিৎ রায় জানান, প্রতিদিন ভোর ৩টের পর থেকেই করিমপুর কলকাতা বাস চলাচল করে। ব্যবসা চিকিৎসার জন্য অনেকেই বাসগুলিতে যাতায়াত করেন। কিন্তু গত দু’দিন যাত্রী প্রায় হয়নি বললেই চলে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন