Arms

বীরভূমের দু’টি জায়গায় পুলিশের অভিযান, উদ্ধার পিস্তল ও কার্তুজ

এসটিএফের অভিযানে বীরভূমের দু’টি জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে পিস্তল এবং কার্তুজ। মোট দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামেও উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৭
Share:

বীরভূমে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।

স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর অভিযানে বীরভূমের ২টি জায়গা থেকে উদ্ধার হল পিস্তল এবং কার্তুজ। দুই ঘটনায় মোট ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামেও উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। সেখান থকেও ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতি দিনই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। ধরা পড়ছে দুষ্কৃতীরাও। তারই মাঝে এ বার জেলায় হানা দিল এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুর রেলস্টেশন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য সামগ্রী-সহ এক জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতের নাম শেখ মনিরউদ্দিন (৫৫)। সে নানুরের বেরুগ্রাম ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭.৬৫ মিলিমিটারের একটি সেমি অটোম্যাটিক পিস্তল, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ম্যাগাজিন এবং একটি মোবাইল ফোন। ওই ঘটনায় সাঁইথিয়া জিআরপি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে এসটিএফ। জেরা করা হচ্ছে ধৃতকে।

বোলপুরের পাশাপাশি সদাইপুর থানার হাজরাপুরে হানা দিয়ে শেখ মিনার নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছেও ৭.৬৫ এমএম একটি সেমি অটোম্যাটিক পিস্তল এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনপাই থেকে হাজরাপুর যাওয়ার রাস্তায় মিনার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এই খবর পেয়ে হানা দেয় সদাইপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাইফুল খান নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। সাইফুল মঙ্গলকোট থানার ঝিলেরা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে মঙ্গলকোট থানার কোটালঘোষ এলাকায় থাকে। ধৃতের কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইফুল বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমে সরবরাহ করত। তার বিরুদ্ধে কেবলমাত্র মঙ্গলকোট থানাতেই মারধর, তোলাবাজি, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীর উপর হামলা-সহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ নানা ধারার মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন