ফের তৃণমূল কর্মী খুন নান্টুর এলাকায়

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিমোকবাড় গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বাগ (৩২) নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ভগবানপুর শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাঝে ব্যবধান দেড় বছরের। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখবাড় গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান খুন হয়েছিলেন। খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল জোর করে চাষের জমিতে ভেড়ি তৈরি নিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ। ফের সেই একই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনা ঘটল।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিমোকবাড় গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বাগ (৩২) নামে ওই তৃণমূল কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে দেহ ইটভাটার নিকাশিনালায় ফেলে দেওয়া হয়। বাবা রতন বাগ ছেলের খুনের ব্যাপারে দুষ্কৃতীদের দায়ী করে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভগবানপুর থানায়। খুনের পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ।

এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। খুনের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক বিষয় জড়িত রয়েছে কি না তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় সমাজবিরোধীদের কার্যকলাপ রুখতে পুলিশের টহলদারি বাড়নো হয়েছে।’’

Advertisement

ভগবানপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় বিজেপি চক্রান্ত করে দুষ্কৃতী লাগিয়ে বিশ্বজিৎকে খুন করেছে। আমরা পুলিশের কাছে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নিহত যুবক দুষ্কৃতী ছিল। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল না। নিজেদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গোলমালের কারণেই খুন হয়েছে। এখন বিজেপির উপরে দায় চাপিয়ে সত্যকে চাপা দিতে চাইছে তৃণমূল। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন