শাসকদলের দু’টি গোষ্ঠীর গোলমাল, বোমাবাজি, ভাঙচুরে দু’দিন ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সেই এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ঝাঁটা-লাঠি হাতে মহিলারা রাস্তা ঘিরে রাখায় ঘণ্টাখানেক আটকে থাকতে হল তাঁকে।
মঙ্গলকোটে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী ও বিধায়ক সিদ্দিকুল্লার অনুগামীদের দ্বন্দ্বে মাঝে-মধ্যেই তেতে ওঠে এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশেমনগরে একটি মেলায় দু’পক্ষের মধ্যে ফের গোলমাল বাধে। শুক্রবার সকাল থেকে লাগোয়া লাখুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় চড়াও হয়ে এক দল দুষ্কৃতী বোমাবাজি করে। পুলিশ গিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার ফের গোতিষ্ঠা ও লাখুরিয়ায় বোমাবাজি, দু’টি দোকানে ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা নিজেদের বিধায়কের গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচয় দেয়। রবিবার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লার কাশেমনগরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই খবর পেয়ে মঙ্গলকোটের নানা গ্রাম থেকে কয়েক হাজার বাসিন্দা গুসকরা-নতুনহাট রাস্তার আটঘড়া মোড়ে জড়ো হন। বেশ কিছু মহিলা ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অনেকের হাতে তৃণমূলের পতাকাও ছিল। ঘণ্টাখানেক আটকে থাকে মন্ত্রীর গাড়ি। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে তাঁর গাড়ি পার করায়। মন্ত্রীকে পরে বারবার ফোন করা হলেও ধরেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ এলাকার এক নেতা বলেন, ‘‘যে ঘটনাই ঘটে থাকুক না কেন, মন্ত্রী সে নিয়ে কিছু বলতে চান না।’’ তৃণমূলের ওই এলাকার পর্যবেক্ষক তথা দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। বিধায়কের যাওয়ার দরকার কী? উনি উন্নয়নের কাজ করুন, সংগঠন আমরা দেখছি।’’