Shilpa Samadhan - MSME Camps 2025

বিধানসভা ভোটের আগে ছোট শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ, রাজ্যে শুরু ‘শিল্পের সমাধানে’ শিবির

রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন মাথায় রেখেই 'শিল্পের সমাধান' কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাদের মত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের বড় অংশ ভোটার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাঁদের সন্তুষ্ট করতেই এই উদ্যোগ। যদিও সরকার দাবি করছে, ভোটের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই— এটি শিল্প উন্নয়নের ধারাবাহিক প্রকল্প।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩১
Share:

শিল্পের সমাধানে শিবিরে ছোট শিল্পেদ‍্যোগীদের উৎসাহ দিতে চায় রাজ্য সরকার। —ফাইল চিত্র।

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোদ্যোগকে আরও আর্থিক ও পরিকাঠামোগত সহায়তা দিতে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে শুরু হল এক বিশেষ কর্মসূচি— “শিল্পের সমাধানে – এমএসএমই ক্যাম্পস ২০২৫”।

Advertisement

শনিবার থেকেই কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বরোতে শুরু হয়েছে এই শিবির। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা পুরসভার আটটি বরো অফিসে এই শিবির বসবে। বরো নম্বর ৯, ১০, ১১ এবং ১২–তে ২২-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিবির চলবে। এর পর ২৫-২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বরো ৪, ১৩, ১৫ এবং ১৬-তে এই কর্মসূচি হবে। উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে প্রতিটি ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট বরো অফিসেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারবেন।

বস্ত্র দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, “এই শিবির শুধুই প্রশাসনিক প্রকল্প নয়— এটি শিল্পোদ্যোগীদের বাস্তব সমস্যার সরাসরি সমাধানের প্ল্যাটফর্ম। রাজনীতি নয়, উদ্যোক্তাদের সাহায্য করাই লক্ষ্য। এখানে আসলে তাঁরা জানতে পারবেন সরকারি ভর্তুকি ও ঋণ পাওয়ার নিয়ম, ব্যবসা নিবন্ধনের নিয়মাবলি এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার শর্তাদি।” সরকারি সূত্রের দাবি, এই শিবিরে উদ্যোক্তাদের সরকারি সহায়তা গ্রহণ সহজ করবে এবং ক্ষুদ্রশিল্প খাতে কর্মসংস্থান বাড়াবে। একই সঙ্গে, উদ্যোক্তাদের জন্য থাকছে এক জায়গায় সমস্ত পরিষেবা— ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ, ঋণ আবেদন, জিএসটি বা ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সহায়তা এবং শিল্প উন্নয়ন পরামর্শ।

Advertisement

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাদের মত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের বড় অংশ ভোটার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাঁদের সন্তুষ্ট করতেই এই উদ্যোগ। যদিও সরকার দাবি করছে, ভোটের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই— এটি শিল্প উন্নয়নের ধারাবাহিক প্রকল্প। কলকাতার পর ধাপে ধাপে এই ক্যাম্প শহরতলি ও গ্রামীণ এলাকাতেও করা হবে, যাতে রাজ্যের সর্বস্তরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছোয়। এই নতুন কর্মসূচির ফলে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্রে নতুন গতি আসবে বলেই আশা সরকারি মহলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement