ব্যাখ্যা চান অ্যান্টনিরা, জল্পনা বাড়াচ্ছেন মানস

শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণের দায়ে প্রদেশ কংগ্রেসে এখন ব্রাত্য বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া। সাম্প্রতিক আচরণের জন্য এ বার তাঁর ব্যাখ্যা তলব করল এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বাধীন এআইসিসি-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং নেতৃত্বকে ক্রমাগত আক্রমণের দায়ে প্রদেশ কংগ্রেসে এখন ব্রাত্য বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়া। সাম্প্রতিক আচরণের জন্য এ বার তাঁর ব্যাখ্যা তলব করল এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বাধীন এআইসিসি-র শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি মানসবাবুকে চিঠি দিয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। কংগ্রেস পরিষদীয় দল যখন মানসবাবুকে সাসপেন্ডের সুপারিশ করে, তখন সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল এই কমিটির কাছে। তার জেরেই মানসবাবুর কাছে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি।

Advertisement

মানসবাবু অবশ্য জানান, রবিবার পর্যন্ত তিনি এমন কোনও চিঠি পাননি। পেলে জবাব দেবেন। প্রদেশ কংগ্রেসের এখনকার পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি আজ, সোমবার দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং রাহুল গাঁধীকে চিঠি পাঠাচ্ছেন। মানসবাবু বলেন, ‘‘গত ১৫ দিন ধরে বিধানসভায় আমার বসার জায়গা নেই। বিধানসভার অলিন্দে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। মৌখিক সাসপেনশন ছাড়া কোনও চিঠি আমি এখনও পাইনি। বরং, জেলায় জেলায় কংগ্রেসটা আইসক্রিমের মতো গলে যাচ্ছে!’’ মানসবাবুর আরও বক্তব্য, মানতে কষ্ট হলেও আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলই এখন জেলায় জেলায় কংগ্রেসের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠছে! মানসবাবুর ভাই, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া সদলবল যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর মানসবাবু বারবারই অধীর চৌধুরী-আব্দুল মান্নানদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে আঁকড়ে থাকতে চেয়েছেন। এ বার এআইসিসি-ও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দিকে গেলে তিনি কী করবেন, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

পিএসি চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ নিয়ে দু’মাস ধরেই মানসবাবুর সঙ্গে দলের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। দু’পক্ষের বিবাদে নাটকীয় নানা মোচড়ও দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি মানসবাবু মমতার প্রশংসা করে বলেন, তিনিই দেশের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করতে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন