সেচের টাকা কি জলে যাচ্ছে, তদন্তের দাবি কংগ্রেসের

বিধানসভায় উল্লেখ-পর্বে মঙ্গলবার সেচ প্রকল্পের বিষয়টি তোলেন মনোজবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১০
Share:

—ফাইল চিত্র।

নদীতে বাঁধ দেওয়ার প্রকল্পের নামে সরকারি টাকা জলে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠল বিধানসভায়। কংগ্রেসের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, প্রকল্পের জন্য সরকারি খরচ যা ধরা হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক কম টাকায় সেই প্রকল্পের বরাত দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঠিকাদার সংস্থাকে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

Advertisement

বিধানসভায় উল্লেখ-পর্বে মঙ্গলবার সেচ প্রকল্পের বিষয়টি তোলেন মনোজবাবু। খড়গ্রাম, কান্দি, ভগবানগোলা, শ্রীরামপুর, নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জের মতো মুর্শিদাবাদ জেলার নানা ব্লকের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কোনও ক্ষেত্রে সরকারি খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯০২ টাকা অথচ প্রকল্পের বরাত দেওয়া হয়েছে ৬৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৯০ টাকায়। কোনও প্রকল্পে খরচ ধরা আছে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৪২ টাকা কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা বরাত পেয়েছে ১ কোটি ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪৪৯ টাকায়। কোথাও ৬২%, কোথাও ৪৭%, কোথাও আবার ৩৯% কম মূল্যে প্রকল্পের কাজ ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির বেশির ভাগই দ্বারকা, ব্রাহ্মণী, বেলে/ময়ূরাক্ষী বা ভাগীরথী নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণ বা মেরামতি সংক্রান্ত। মনোজবাবুর বক্তব্য, ‘‘প্রকল্পের খরচের চেয়ে এত কম মূল্যে কাজের বরাত দেওয়া হচ্ছে কী ভাবে? বিষয়টির তদন্তের দাবি করছি।’’ বিধায়কের প্রশ্ন, তা হলে কি সরকারি টাকা নয়ছয় হচ্ছে? কম খরচে কাজ করে মূল বরাদ্দের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে?

সেচমন্ত্রী শুভেন্দুবাবু প্রথমে বলেন, টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে হয়। মনোজবাবু বলেন, তা সত্ত্বেও কিছু ঠিকাদার সংস্থা কী ভাবে কম টাকায় প্রকল্পের কাজ পেয়েছে, তার নথিপত্র তাঁর কাছে আছে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেবিলে ওই কাগজপত্র জমা দিয়েছেন মনোজবাবু। পরে সেই কাগজের গোছা চেয়ে নিয়েছেন মন্ত্রীও। তাঁর আশ্বাস, তিনি বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন