রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য দফতরের বাজেটে রাজ্যের সাফল্যের খতিয়ান দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বিনিয়োগই তুলে ধরলেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র।
গত কয়েক বছরে রাজ্যে কত বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে এবং তার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বারবারই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিধানসভায় এ দিন শিল্প-বাণিজ্য দফতরের বাজেটে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম নিগম লিমিটেড, ইন্ডিয়ান অয়েল নিগম লিমিটেড বা আইআরসিটিসি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার বিনিয়োগই ঘটা করে তুলে ধরেন শিল্পমন্ত্রী। বিধানসভায় রাজ্যের অর্থনীতির ‘হাল ফেরানো’র প্রকল্প বলে যে ক’টি ঘোষণা অমিতবাবু এ দিন করেছেন, তাও আদতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পই। এর মধ্যে বর্ধমানের গৌরাঙ্গডিহিতে কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ছাড়পত্র, গেল-এর জগদীশপুর-হলদিয়া গ্যাস পাইপলাইন এবং কলকাতা ও তার আশপাশে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহের প্রকল্পও রয়েছে।
এ তো গেল, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বিনিয়োগের কথা। বিরোধীরা মন্ত্রীর কাছে বেসরকারি বিনিয়োগের হাল-হকিকত জানতে চেয়েছিলেন। এর জবাবে যে পরিসংখ্যান বাজেট বইয়ে এবং শিল্পমন্ত্রীর ভাষণে পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি পুরো মাত্রায় কাটছে না। অমিতবাবু পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭-র শিল্প সম্মেলন থেকে রাজ্যে ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে কোনও না কোনও ভাবে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৩৪২ কোটির কাজ শুরু হয়েছে।
তবে ঠিক কত টাকা লগ্নিতে বাস্তবায়িত হয়েছে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি শিল্পমন্ত্রী। বাজেট বইয়ে অবশ্য বলা হয়েছে, রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম এখনও পর্যন্ত ৪৮৮টি শিল্পসংস্থাকে ২১১০ একর জমি দিয়েছে। যেখানে মাত্র ৩ হাজার ২১৪ কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। আবার রাজ্যে বাস্তবায়িত লগ্নির চিত্র বোঝাতে অমিতবাবু ঢাল করেছেন সেই কেন্দ্রীয় শিল্পনীতি ও প্রসার মন্ত্রকের(ডিআইপিপি) পরিসংখ্যানকেই। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ২৪টি শিল্পসংস্থা ২৮৯০কোটি টাকা এ রাজ্যে বিনিয়োগ করেছে। যা শুনে অবশ্য বিরোধীরা খুশি হতে পারেননি।