পয়লা ফেব্রুয়ারি, কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের দিনেই বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিন্তু পণ্য-পরিষেবা করের (জিএসটি) দৌলতে এ বছর থেকে কর কাঠামো রদবদলের কোনও এক্তিয়ার আর রাজ্যের হাতে নেই। ফলে এ বার বাজেট পেশকে এক প্রকার আনুষ্ঠানিকতা বলেই মনে করছে নবান্নের অন্দরমহল।
অর্থ কর্তাদের মতে, যে কোনও বাজেটের মূল আকর্ষণ হল করের হারে পরিবর্তন। তার উপরেই নির্ভর করে জিনিসপত্রের দামের ওঠাপড়া। সাধারণ মানুষও তাই বাজেটের দিকে চেয়ে থাকতেন। কিন্তু জিএসটি চালু হওয়ার পরে পণ্য ও পরিষেবার উপরে করের হার নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা পরিবর্তন করার এক্তিয়ার জিএসটি পরিষদের। রাজ্যের হাতে রয়েছে শুধু আবগারি শুল্ক, জমি-বাড়ি কেনাবেচার স্ট্যাম্প ডিউটি, জমির খাজনা এবং পেট্রোপণ্যের উপরে সেস নির্ধারণের অধিকার। কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে বিরাট কিছু পরিবর্তনের সুযোগ কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
অর্থ দফতরের কর্তারা বলছেন, এ বিষয়টা কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কেও খাটে। তবে যে হেতু কেন্দ্রের হাতে আয়কর এবং কর্পোরেট কর নির্ধারণের অধিকার রয়েছে, তাই অরুণ জেটলির বাজেটের প্রতি খানিকটা আগ্রহ থেকেই যাবে। তা ছাড়া, কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে এখন রেল বাজেটও জুড়ে গিয়েছে। ফলে সে দিকেও তাকিয়ে থাকবে আমজনতা।
রাজস্বের ক্ষেত্রে দিল্লির উপর নির্ভরতা বাড়ায় নতুন প্রকল্প ঘোষণার ব্যাপারেও রাজ্য চাপে পড়বে। ঋণ শোধের চাপে চালু প্রকল্পগুলিই চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। কন্যাশ্রী থেকে খেলশ্রী, সবুজশ্রী থেকে সমব্যথীর বরাদ্দ মিটিয়ে নতুন কোনও প্রকল্পও ঘোষণার সম্ভাবনাও তেমন নেই বলে জানাচ্ছেন অর্থ কর্তারা।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি ঋণ শোধ করে নতুন কী কী করা সম্ভব? কর্মীরা মাস পয়লা বেতন পাচ্ছেন, সব প্রকল্প চলছে, উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ হয়নি —এটাই অনেক।’’