সেই মাছ। —নিজস্ব চিত্র
জ্যান্ত কই মাছ আটকে শ্বাসনালীতে। ছটফট করছে আট মাসের শিশু। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা অভয় দেন, চিন্তা করবেন না।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালেই মশার চাষ
কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা রহিম শেখের স্ত্রী আমিনা বিবি জানেন জ্যান্ত কই মাছ কত মারাত্মক। আক্ষেপ করছিলেন, কেন ভুল করে বাচ্চাদের সামনে রেখেছিলেন মাছগুলো। বুধবার বিকেলে মাছ আনেন রহিম। আমিনা যেখানে সেগুলো রেখেছিলেন, তার কাছেই খেলছিল তাঁর চার বছরের রাহুল আর আট মাসের হামিদ। রাহুল খেলতে খেলতে ভাইয়ের মুখে জ্যান্ত কই ঢুকিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে হামিদকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই মালদহ মেডিক্যালে। হামিদকে দেখার পরে ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পি কে মণ্ডলের নেতৃত্বে চার জনের দল করে ফেলা হয়। মাত্র দশ মিনিটে ল্যারিঙ্গোস্কোপি করে শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে থাকা কই বের করে ফেলেন তাঁরা। কই মাছটাও তখনও বেঁচে!