গেরুয়া বসন পরেন সন্ন্যাসীরাও: কেষ্ট

প্রশ্ন উঠল এ বার বীরভূমে ধুমধাম করে রামনবমীর মিছিলের পাল্টা হিসেবেই কি অনুব্রতের এই সম্মেলন? অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘এই সম্মেলন আগে ব্লক স্তরে হতো। জেলা স্তরে সম্মেলন আয়োজনের কথা বলেছিলেন পুরোহিতরাই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

পুরোহিত সম্মেলনে অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুর স্টেডিয়ামে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

এক নজরে যত দূর চোখ যায়, সবটাই গেরুয়া। মঞ্চেও গেরুয়া পাঞ্জাবিতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার বোলপুরে পুরোহিত সম্মেলনের আবহ ছিল এমনই। অনুব্রতের ডাকে এমন গেরুয়া সমাবেশ দেখে টিপ্পনী কাটতে ছাড়লেন না বিরোধীরা।

Advertisement

প্রশ্ন উঠল এ বার বীরভূমে ধুমধাম করে রামনবমীর মিছিলের পাল্টা হিসেবেই কি অনুব্রতের এই সম্মেলন? অনুব্রত দাবি করেন, ‘‘এই সম্মেলন আগে ব্লক স্তরে হতো। জেলা স্তরে সম্মেলন আয়োজনের কথা বলেছিলেন পুরোহিতরাই।’’

জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, জেলার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাঁদের নিজস্ব ভোট কম নয়। ময়ূরেশ্বর, লাভপুর, পাড়ুইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সমানে-সমানে টক্করও হয়েছে অনেক সময়। সম্প্রতি সিউড়িতে রামনবমীর মিছিল (দলীয় প্রতীক ছাড়া) এবং রাজনগরে সভা করে ভাল সাড়া পেয়েছেন তাঁরা। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘গৈরিক-সরণি’তে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে শাসক দল। এর আগে কঙ্কালীতলায় কামরূপ-কামাখ্যা থেকে পুরোহিত আনিয়ে মহাযজ্ঞ করেছিলেন অনুব্রত। এ বার করছেন পুরোহিত সম্মেলন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রবি শুনছ তো, মঞ্চে ডাক মমতার

সম্মেলন বসেছিল বোলপুরের ডাকবাংলো স্টেডিয়ামে। অতিথিদের বুকে লাগানো ব্যাজে ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সংগঠকদের হিসেবে সম্মেলনে সামিল হন প্রায় ১৫ হাজার পুরোহিত। তাঁদের একটি করে নামাবলি এবং গীতা দেওয়া হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের পরনে ছিল গৈরিক বসন, গলায় গৈরিক উত্তরীয় বা নামাবলী।

এমন এক অনুষ্ঠানে গেরুয়া পাঞ্জাবি পরে আসার কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে কি? অনুব্রতের জবাব, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ গেরুয়া বস্ত্র পরতেন। সন্ন্যাসীরা তা-ই পরেন, বাউলেরাও। আমিও সে জন্য পরেছি। অন্য কোনও কারণ নেই।’’

যদিও পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে এক সভায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে কেষ্ট (অনুব্রতর ডাক নাম) ঠাকুর ব্রাহ্মণভোজন করাচ্ছেন। পুরোহিতদের বলছি, খাদানের টাকা, তোলাবাজির টাকা, সিন্ডিকেটের টাকা ছোঁবেন না।’’

সম্প্রতি বীরভূমের রাজনগরে এক সভায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে বেনামী সম্পত্তির অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সে অভিযোগ উড়িয়ে এ দিন অনুব্রত মুকুলের বিরুদ্ধে তৃণমূলে থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙানোর পাল্টা অভিযোগ করেছেন। সঙ্গে জুড়েছেন, ‘‘আমরা ব্রাহ্মণদের সম্মান করছি, ওরা অপমান করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন