Anubarata Mandal

Anubrata Mondal: ওটা বাদ দিয়ে প্রশ্ন করুন, লটারি প্রসঙ্গ উঠতেই থামিয়ে দিলেন অনুব্রত

যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিটটি বিক্রি হয়েছে, তার মালিক অন্য কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, লটারির টিকিটের স্টকিস্ট হলেও তা বিক্রি করেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ২০:০৫
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

লটারিতে কি এক কোটি টাকা জিতেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল? এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন খোদ অনুব্রত। মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই লটারি বিক্রেতাও। যে কোম্পানির ‘লটারি’র টিকিট নিয়ে এত বিতর্ক, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও ধোঁয়াশা কাটছে না। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

সোমবার একটি লটারি সংস্থার ওয়েবসাইটে (Lottrysambadresult. in) অনুব্রতের ছবি-সহ তাঁর ১ কোটি টাকা লটারি জেতার দাবি করা হয়েছে। যদিও এই দাবির সত্যতা বিচার করে দেখেনি আনন্দবাজার অনলাইন। খবরটি প্রকাশ্যে আসামাত্রই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে ওই দাবি অস্বীকার করেন খোদ অনুব্রত। তবে জনসমক্ষে তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘ওটা বাদ দিয়ে কিছু বলার থাকলে বলুন।’’

যে দোকান থেকে ওই লটারির টিকিটটি বিক্রি হয়েছে, তার মালিক অবশ্য অন্য কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, লটারির টিকিটের স্টকিস্ট হলেও তা বিক্রি করেন না। দোকান মালিক রঞ্জিত ধীবরের কথায়, ‘‘আমি সাব-স্টকিস্ট। আমার কাছ থেকে নানা জনই লটারি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।’’ অনুব্রতের লটারি জেতার খবর নিয়েও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। উল্টে তাঁর আরও দাবি, ‘‘কে লটারি জিতেছে, তা বলতে পারব না। তবে পরে জানতে পারলাম যে অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারি জেতার খবর বেরিয়েছে।’’

Advertisement

তবে রঞ্জিতের মন্তব্য, ‘‘ডিসেম্বরের ৭ তারিখে ওই টিকিটটি কেনা হয়েছিল। ওই নাইটের টিকিটের নম্বর ছিল ৫৮৯এইচ৫৪০৪৫। এটুকুই বলতে পারব যে ওই টিকিটের প্রাইজ আমাদের কাউন্টার থেকে হয়েছে।’’ অনুব্রত কি টিকিট কেটেছিলেন? জবাবে রঞ্জিতের সাফ জবাব, ‘‘সেটাও বলতে পারব না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার কাউন্টার থেকে ওই লটারির টিকিট বিক্রি হয়নি। তবে তার প্রাইজটা আমার কাউন্টার থেকে হয়েছে।’’

অনুব্রত মুখ খোলেননি। টিকিট বিক্রেতাও নীরব। এই আবহে বোলপুরের এক বিজেপি নেতার প্রশ্ন, ‘‘টিকিট যদি অনুব্রত না-ই কাটবেন তা হলে তাঁর ছবি ও নাম ওই লটারির কোম্পানি কেন ব্যবহার করল? টিকিট না জেতা কারও নাম-ছবি ব্যবহার করা তো অনৈতিক। বেআইনিও। সে ক্ষেত্রে কেন অনুব্রত আইনি পদক্ষেপের কথা ভাবছেন না? ডাল মে কুছ কলা হ্যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement