Anubrata Mondal

‘ভয়ের কিছু নেই, আমাদের লোকেরা ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবে’! এসআইআর নিয়ে কেষ্টর মন্তব্যে বিতর্ক

এসআইআর নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গন্ডগোল হলে তৃণমূলের লোকেরা ব্যবস্থা করে দেবেন। প্রয়োজনে ভোটার তালিকায় নামও তুলে দেবেন। এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০০
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

এসআইআর নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গন্ডগোল হলে তৃণমূলের লোকেরা ব্যবস্থা করে দেবেন। প্রয়োজনে ভোটার তালিকায় নামও তুলে দেবেন। এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভোট সুরক্ষা সভায় অনুব্রত বলেন, ‘‘ভয়ের কিছু নেই। আমাদের লোকেরা আছে। ঠিক ভোটার লিস্টে নাম ঢুকিয়ে দেবে।’’ কেষ্টর সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। কাউকে জেলে যেতে হবে না।’’ কথায় কথায় অসমে এনআরসি প্রক্রিয়ারও উল্লেখ করেন তিনি। অনুব্রতের মন্তব্য, অসমের এনআরসি-তে যাঁরা বাদ পড়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই হিন্দু। তাই কোনও রকম ফাঁদে না পড়ারও বার্তা দিয়েছেন কেষ্ট।

অনুব্রতের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এসআইআর-এ নাম তোলার দায়িত্ব বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-দের। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে বিএলও-কে সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্তু নাম তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। ভোটার তালিকার স্পেশ্যাল সামারি রিভিশন বা এসএসআর-এর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নাম তোলা বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেন। কিন্তু এসআইআর-এর ক্ষেত্রে সে কাজ নির্বাচন কমিশনের। অনুব্রত মণ্ডলের মাথায় অক্সিজেন কম যায়, সে কথা ওঁর শ্রদ্ধেয় দিদিই বলেছেন। অক্সিজেনের সেই তারতম্যের কারণেই তিনি এসএসআর এবং এসআইআর-এর পার্থক্য বুঝতে পারছেন না।’’ বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলও বলেন, ‘‘কী ভাবে কোনও দলের লোক ভোটার লিস্টে নাম তুলতে পারে? এটিই প্রমাণ করছে, বিএলওদের প্রভাবিত করার অভিযোগ সত্য।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement