জল শুদ্ধ! তবে কেন কলকাতায় ডায়েরিয়া

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ এ দিন জানান, অসুস্থদের বাড়ি থেকে সংগৃহীত ৮২টি নমুনা পরীক্ষার পরেও জলে সমস্যা পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য দফতরেও নমুনা পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

কাহিল: বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ডায়েরিয়া আক্রান্ত এক রোগী। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ

তিন দিন কেটে গেলেও রোগের উৎস খুঁজে পাচ্ছে না পুরসভা। অথচ সমস্যার কথা জানানোই হয়নি বিশেষজ্ঞ সংস্থা নাইসেডকে।

Advertisement

শুক্রবার থেকে কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ডে পেটের রোগ ছড়াচ্ছে। শনিবার থেকে ৪৬০ জন বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েছেন। রবিবার হাসপাতাল জানিয়েছে, ৫০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন সকালেও ২৪ জন পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কয়েক জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ এ দিন জানান, অসুস্থদের বাড়ি থেকে সংগৃহীত ৮২টি নমুনা পরীক্ষার পরেও জলে সমস্যা পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য দফতরেও নমুনা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জলে সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

চিকিৎসকেরা অবশ্য জানান, পেটে ব্যথা, বার বার মলত্যাগের মতো উপসর্গ ডায়েরিয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যা মূলত জলবাহিত রোগ।

নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত এ দিন বলেন, ‘‘পুরসভা বা স্বাস্থ্য দফতর সমস্যার কথা জানায়নি। অথচ এ বিষয়ে নজরদারি, নমুনা পরীক্ষা করার জন্য দেশের সব চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিশেষজ্ঞ টিম শহরেই রয়েছে। খবর দিলে এলাকায় গিয়ে রোগের উৎস অনুসন্ধান করা যেত।’’

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পুরসভার তরফেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। নাইসেডকে জানানো হবে কি না, তা পরে বিবেচনা করা হবে।’’ এ দিনও তিনি হাসপাতালে যান। মেয়রের কথায়, ‘‘জল থেকে সমস্যা হলে পুরো পরিবারের তা হত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি তা নয়।’’

এলাকাবাসীর একাংশ অবশ্য পুরসভার সরবরাহ করা জল নোংরা বলে অভিযোগ তুলেছেন। পুর কর্তৃপক্ষের পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে বাসিন্দারা কেন সেই নমুনা পুর প্রতিনিধিদের পাঠাননি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন