ছবি: সংগৃহীত।
দিল্লি, বম্বে, চেন্নাই-সহ বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলিতে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেল। অথচ সরকারি ছাড়পত্র পেল না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির প্যানেলটি।
গত কয়েক মাস ধরে এই বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে দেশজুড়ে। কলকাতা থেকে ছয়-সাত জনের নামের একটি প্যানেল হাইকোর্টের কলেজিয়াম পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কাছে। সেই কলেজিয়াম নামের প্যানেল পাঠায় আইন মন্ত্রকের কাছে। আইন মন্ত্রক এটি পাঠিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রথা মোতাবেক ফাইলটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে এবং তিনি স্বাক্ষর করবেন।
প্রশ্ন উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিচারপতিদের ক্ষেত্রে কেন এত দেরি? রাজ্যের অভিযোগ, দিল্লি, বম্বে, চেন্নাই— এ সব হাইকোর্টে আগে প্যানেল অনুমোদিত হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা তাঁদের ‘সিনিয়রিটি’-র প্রশ্নে পিছিয়ে যাবেন। ফলে কয়েক বছর পরে মেয়াদ শেষে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হওয়ার প্রশ্নে পিছিয়ে যাবেন কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনিও চান, কেন্দ্র দ্রুত হাইকোর্টের বিচারপতিদের প্যানেল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থায় বিচারপতির সঙ্কটের কথা ইতিমধ্যেই তিনি কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে জানিয়েছেন। রবিশঙ্কর বলেন, এ বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, বিচার ব্যবস্থার একটা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে।