Madhyamik Exam

মাধ্যমিকে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের অনুমোদন পর্ষদের

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, যে সব স্কুলে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে, সেখানে শিক্ষকেরাই পড়ুয়াদের তল্লাশি করবেন। পুলিশকে দিয়ে তল্লাশি করানো যাবে না।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:১০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ রুখতে মেটাল ডিটেক্টর রাখার অনুমতি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বারই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ঢোকার ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার হতে চলেছে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানান, যে সব স্কুলে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে, সেখানে শিক্ষকেরাই পড়ুয়াদের তল্লাশি করবেন। পুলিশকে দিয়ে তল্লাশি করানো যাবে না। পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুল যদি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের তল্লাশির জন্য মেটাল ডিটেক্টর রাখতে চায়, তা হলে তা রাখতে পারবে। আমরা অনুমতি দিয়েছি। তবে মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করতে হবে স্কুলকেই। যেমন, এ বার মালদহ জেলায় প্রতিটি স্কুলই মেটাল ডিটেক্টর রাখবে বলেছে।’’

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় তা ব্যবহার হয় না কেন? কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের থেকে দু’বছরের ছোট। পরীক্ষার আগে দেহ তল্লাশি হলে তাদের মনে প্রভাব পড়তে পারে। তবে, যে হেতু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করবেন শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা, তাই পড়ুয়াদের মনে প্রভাব পড়বে না বলেই মত পর্ষদের। এক কর্তার মতে, কেন্দ্রে একটি মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করলে দীর্ঘ লাইন পড়ে যেতে পারে। তাই যাঁরা মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করবেন, তাঁদের একটি নয়, দু’টি ব্যবহার করাই ভাল।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করায় মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকদের একাংশের। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি, মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার না করেও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ার সংখ্যা প্রতি বছরই কমছে। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল-সহ ধরা পড়েছিল ১৮ জন। এ বার সেই সংখ্যা শূন্য করতে চায় পর্ষদ।

বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা পর্ষদের মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের অনুমতিকে স্বাগত জানান। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল-সহ ধরা পড়লে সব পরীক্ষা বাতিল হয়। কয়েক জন প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, তাঁরা আগেই মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। এ বার অনুমতি মেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রে সেই ব্যবস্থা রাখবেন। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে, দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ বছরেই কয়েকটি জেলা, যেমন, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহে মোবাইল-সহ ধরা পড়া পরীক্ষার্থী যথেষ্ট বেশি। এর ফলে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্ন বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন