এসএসসি মামলায় রাজ্যের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
অতিমারি কালে লকডাউনের সময় তড়িঘড়ি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে আগে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। ‘হাই প্রোফাইল কেস’ হিসাবে গণ্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল তাতে। এসএসসি মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিক রাজেশ লায়েক।
সোমবারের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। সেখান থেকেই অংশ নিয়েছিলেন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বে। তবে তাঁর চোখে কালো চশমা ছিল না সোমবার। পার্থ ছাড়াও ছিলেন অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন।
রাজেশ সিবিআইয়ের সাক্ষী। আদালত সূত্রে খবর, তিনি আদালতে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিয়োগপত্র প্রস্তুত করার কাজ করেছিলেন তিনি। শান্তিপ্রসাদ সিন্হা এবং কল্যাণময়েরা তাঁকে চেম্বারে ডেকে বলেছিলেন কিছু নিয়োগপত্র প্রস্তুত করতে। রাজেশ আরও জানান, তথ্যের অধিকার আইনে একটি মামলা হয়েছিল। তাতে অনেকের নম্বর বেড়েছিল। তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্যই বলা হয়েছিল রাজেশকে।
আদালত সূত্রে খবর, রাজেশ জানিয়েছেন, কী ভাবে কী কাজ হবে, তা জানতে চাইলে শান্তিপ্রসাদ নতুন ভবনের কথা বলেছিলেন। সমরজিৎ ভট্টাচার্যের থেকে তথ্য নেওয়ার কথা বলেছিলেন কল্যাণময়। লকডাউনের সময় শান্তিপ্রসাদ সুপারিশ নিয়ে এসেছিলেন। অনুমোদনের কথা পরে হবে বলে জানিয়েছিলেন কল্যাণময়।