SIR in West Bengal

কমিশনের জোড়া চিঠি পেয়ে অবশেষে সক্রিয় নবান্ন, প্রথম দফায় বিএলওদের জন্য বরাদ্দের ৬১ কোটি ছাড়া হল

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিএলও-দের পারিশ্রমিক বাবদ রাজ্যের থেকে ৭০ কোটি টাকা পায় তারা। রাজ্যের অর্থ দফতর সেই টাকা আটকে রাখায় বিএলও-দের পারিশ্রমিক দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

রাজ্য টাকা না পাঠানোয় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজে যুক্ত বিএলওদের এখনও পারিশ্রমিক দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে টাকা চেয়ে নবান্নকে দ্বিতীয় চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, সোমবার বিএলওদের জন্য় বরাদ্দের ৬১ কোটি টাকা ছেড়েছে রাজ্য। কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের কাজে ওই টাকা ব্যবহার করা হবে। আপাতত ওই টাকা ৯৫ হাজার বিএলও-এর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে।

Advertisement

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-দের পারিশ্রমিক বাবদ রাজ্যের থেকে ৭০ কোটি টাকা পায় তারা। রাজ্যের অর্থ দফতর সেই টাকা আটকে রাখায় বিএলও-দের পারিশ্রমিক দেওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এ বার বিএলওদের পারিশ্রমিক প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এ বার ১২ হাজার টাকা হয়েছে। বিশেষ ভাতা-সহ তাঁরা মোট ১৪ হাজার টাকা পাবেন। বিএলও সুপারভাইজ়ারদের পাওয়ার কথা ১৮ হাজার টাকা। প্রায় ৮১ হাজার বিএলও কাজ করছেন। অভিযোগ, কমিশন বরাদ্দ অনুমোদনের পরেও তাঁদের টাকা দেওয়া যায়নি।

বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি, তার পরে সেই সব ফর্ম পূরণের পর সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে পাঠানোর দায়িত্ব বিএলওদের কাঁধে। সেই কাজের জন্য বিএলও-দের জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও-রা প্রতি বছর ভোটার তালিকা পর্যালোচনা (রিভিশন)-র কাজে ছ’হাজার টাকা পেতেন। তবে সেই সাম্মানিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিএলওদের একাংশের অভিযোগ, এসআইআরের সময়ে ভোটারদের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এর জন্য তাঁদের মোবাইলের ডেটা খরচ হচ্ছে। অনেক বিএলও-র অভিযোগ, তাঁদের কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। এই কাজের জন্য তাঁদের স্মার্ট ফোন কিনতে হয়েছে। সেই সব কথা ভেবে কমিশনের তরফে আরও ছ’হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেবে বলে জানায়। প্রায় ৮১ হাজার বিএলও কাজ করছেন। অভিযোগ, এখনও বিএলও-রা তাঁদের পারিশ্রমিক হাতে পাননি। যা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement