—ফাইল চিত্র।
ফের অনুপস্থিতির কারণে বিধানসভায় অস্বস্তিতে পড়ল সরকার পক্ষ। ট্রেজারি বেঞ্চ ফাঁকা কেন, এই প্রশ্ন তুলে সোমবার বিক্ষোভে নামলেন বিরোধী কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা। বিরোধীদের নিরস্ত করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এ দিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা দলীয় বৈঠকে হাজির থাকায় অনেক মন্ত্রীই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।
বিধানসভার প্রশ্নোত্তর-পর্ব শুরু হওয়ার পরেই এ দিন মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি দেখে সরব হন বিরোধী বিধায়কেরা। কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সময়ে সাকুল্যে চার জন মন্ত্রী ট্রেজারি বেঞ্চে ছিলেন। এমনকি, শিক্ষা দফতর নিয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্ন নির্ধারিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের বিধায়কেরা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই এই পরিস্থিতি চলছে। ফলে, বিধানসভায় তাঁদের থাকার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি নিজে খতিয়ে দেখবেন বলে বিরোধী বিধায়কদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন স্পিকার। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণে বিধানসভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রশ্নোত্তর-পর্বে এই অবস্থা সামাল দিতে বেরিয়ে এসে মন্ত্রী খুঁজতে শুরু করেন তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। ছোটাছুটি করতে হয় বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষকে।
এর পরে নিজেদের আনা মুলতুবি প্রস্তাবও ফিরিয়ে নেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (পরে এসেছিলেন) না থাকায় তিনি আলোচনা করতে চাননি। পরে বাইরে মান্নান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘‘মন্ত্রীরা তখন ছিলেন না বলে শিষ্টাচার দেখিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব তুলে নিয়েছি। পরে আবার তা জমা দেব। এর পরেও ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা করতে না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে!’’