ওপরতলার নির্দেশ। আসিফের মুখে তাই কুলুপ এঁটে দিল পুলিশ।
পুলিশি হেফাজতে লখনউ যাওয়ার দিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ডাকাতরানি’ বলেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খান। বলেন, “মুকুল রায়ের টাকা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে।” বিমানবন্দর থানার পুলিশ সোমবার যখন তাঁকে নিয়ে বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকছিল, তখন পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পর ওপরমহল কাছ থেকে বিস্তর বকাঝকা সহ্য করতে হয়েছে থানার অফিসারদের। সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলার সময়ে কেন আটকানো হয়নি তাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্তারা।
বুধবার আসিফ ফেরেন কলকাতায়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য এমন পরিকল্পনা করে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল যে আসিফের কাছেও পৌঁছতে পারলেন না সাংবাদিকেরা।
কী ভাবে? বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে ইন্ডিগোর বিমান কলকাতার মাটি ছোঁয়ার আগেই পুলিশ পৌঁছয় বিমানবন্দরে। বিমান সংস্থাকে অনুরোধ করা হয় বিমানের পিছনের গেটে সিঁড়ি লাগানোর জন্য। আসিফকে পিছনের গেট দিয়ে নামিয়ে আনা হয় নীচে। সেখান থেকে তাঁকে ভ্যানে তুলে চলে যাওয়া হয় তেলের গাড়ি যাতায়াতে ব্যবহার হওয়া বিমানবন্দরের ছ’নম্বর গেটে। গেটের বাইরে আসিফকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেওয়া হয়। পুরুলিয়া অস্ত্রবর্ষণ মামলায় পিটার ব্লিচকে কলকাতায় আনার সময়ে এ ভাবেই বিমানবন্দর থেকে বের করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভ্যানে করে তাঁকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। সেখানেও অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকেরা। তাই, আসিফের প্রিজন ভ্যানে কয়েক জন মহিলা কনস্টেবল রাখা হয়েছিল। নিউটাউন থানার সামনে ভ্যান দাঁড়ালে ওই মহিলা কনস্টেবলরা হুড়মুড়িয়ে নামেন ভ্যান থেকে। তাঁদের মাঝেই নামিয়ে আনা হয় আসিফকে। সটান নিয়ে যাওয়া হয় থানার ভিতরে।