কারও দেহে ছর্রা গুলি লেগেছিল। কেউ জখম হয়েছিলেন বোমার স্প্লিন্টারে। কাউকে ঘর থেকে বের করে পিটিয়েছিল হামলাকারীরা। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির রাজবাড়িতে সোমবার দু’পক্ষের মারপিটের ঘটনায় জখম হন পনেরো।
ঘটনায় রাজনীতির রঙ লেগেছে। বিজেপি দাবি করে, তাদের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। শাসক দলের পাল্টা দাবি, হামলাকারীরা পদ্ম-শিবিরের। সভা, পাল্টা সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই তাতছে রাজবাড়ির হাওয়া।
বুধবার সভা করেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি। এ দিন পাল্টা সভা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বেশির ভাগ জখম লোকজন এবং তাঁদের পরিবার অবশ্য দাবি করছেন, তাঁরা রাজনীতি করেন না। গ্রামের এক মহিলাকে কটূক্তি, মারধর করা নিয়ে গোলমাল বেধেছিল। যাকে ঘিরে রাজনীতি শুরু করেছে বিভিন্ন দল।
দিলীপ মণ্ডল, শান্তি মণ্ডলরা বলেন, ‘‘একে মরছি নিজেদের জ্বালায়। এখন রাজনীতির দলাদলিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়।’’ বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়েছিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র একটি দল। ছিলেন চঞ্চল চক্রবর্তী, ভারতী মুৎসুদ্দিরা। তাঁদের কাছেও একই কথা জানিয়েছেন দিলীপ, শান্তিরা।
গ্রামবাসীর বক্তব্য জেনে ইদ্রিশ এ দিন বলেন, ‘‘রাজনীতির জন্য গ্রামবাসীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা কাম্য নয়।’’
বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহের বক্তব্য, ‘‘যে মহিলাকে মারধর করা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত, তিনি আমাদের কর্মী। তবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে সাধারণ মানুষও সে দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন।’’