BJP MLA Shankar Ghosh

ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল খুলে ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে তৃণমূল, পুলিশে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি, রিচ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। জবাবে তৃণমূল নেতৃত্ব শঙ্করকে ব্যর্থ বিধায়ক বলে আক্রমণ শানিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ২২:০২
Share:

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। —ফাইল ছবি।

একাধিক ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল খুলে ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগের নিশানায় রয়েছে শাসকদল তৃণমূল।

Advertisement

বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক শঙ্কর শিলিগুড়ির বিধায়ক। তাঁর এমন অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করেছে শাসকদল। শঙ্করের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের পরিচিত রাজনীতিকদের প্রথম চার পাঁচজন নেতার পেজের মধ্যে আমার পেজ রয়েছে। ১৮ মিলিয়ন (এক কোটি ৮০ লক্ষ) এই পেজটির রিচ। অন্য নেতাদের ক্ষেত্রে পেশাদার সংস্থা এই পেজ দেখভাল করেন। আমার পেজ আমি নিজেই দেখাশুনো করি।’’ এর পরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু আমি লক্ষ করেছি যে আমার ফেসবুক পেজের মতো ক্লোন পেজ তৈরি করে অপপ্রচার করা হচ্ছে। সেই পেজগুলি থেকে নানা স্লোগান দেওয়ানো হচ্ছে। এমনকি আমার ফেসবুক পেজে যাঁরা নিয়মিত কমেন্ট করেন তাঁদের ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে।’’

শঙ্করের অভিযোগ, ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি, রিচ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এই কাজ তৃণমূলের তরফ থেকে করা হচ্ছে। এর আগে এক জন তৃণমূল কর্মী টুইটারে (অধুনা এক্স) আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছিল। আমার ফেক প্রোফাইল তৈরি করে টাকা চাওয়া হয়েছিল। এখন প্রচেষ্টা হচ্ছে আমার রিচ ডাউন করা। এমন প্রচার করা যেন আমি তৃণমূলে যোগদান করছি। এই ধরনের নোংরামি করে রাজনীতিতে বেশি দিন ঠিকে থাকা যায় না।’’ জবাবে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘শঙ্করবাবু তো পরাক্রমশালী কেন্দ্রের শাসকদলের সদস্য। ওঁর কন্ট্রোলে তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সাইবার ক্রাইম বিষয়গুলি। তাই সেখান থেকেই তিনি কে এই সব কাণ্ড করছে তা জেনে নিতে পারেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিধায়ক হওয়ার আগে তিনি শিলিগুড়ির মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজই তিনি করেননি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সামনে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে মিরিক লেক হয়ে যায়। সেখানে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনকে তিনি হেরিটেজ ঘোষণা করে সেখানে একটি মিউজিয়াম তৈরি করার কথাও বলেছিলেন। এত দিনে তিনি এ সব কাজ না করতে পেরে, দু’দিন ছাড়া ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ করে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে চাইছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement