আশ্বাস: জল সমস্যা শুনছেন সাংসদ বাবুল। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় জলের বড্ড অভাব। বলেও কাজ হয়নি। তাই মঙ্গলবার এলাকা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি যেতে দেখে ঘিরে ধরেন পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের বল্লভপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে আবেদন, ‘‘দিন না জলের ব্যবস্থা করে!’’ অনুরোধে কাজ হল। সমস্যা শুনে সাংসদ তহবিল থেকে জলপ্রকল্পের জন্য ১২ লক্ষ টাকার অনুমোদন করলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
বল্লভপুরে একটি কৃষি সচেতনতা শিবিরে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় ভারী-শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাবুল। বাঁশতলাপাড়ায় মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে ধরেন প্রায় দু’শো বাসিন্দা। বলতে থাকেন, ‘‘এখানে পানীয় জলের খুব অভাব। আমরা জলের জন্য পঞ্চায়েত-সহ বহু জায়গায় আবেদন করেছি। দেখুন না, কী করা যায়!’’
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলপ্রকল্প থেকে ওই এলাকার প্রায় শ’খানেক পরিবার জল পায়। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, ‘‘দিনে যেটুকু জল আসে, তাতে বড়জোর দু’বালতি ভরে। সে জলও অনিয়মিত। গরম বাড়লে চলবে কী করে?’’ অভিযোগ শুনে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। কিন্তু তার পরেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বলেন, ‘‘আশ্বাসে সমস্যা মিটবে না, স্যার।’’
আরও পড়ুন: মায়ের খুনি অপবাদ মুছতেই লড়াই দুই ভাইয়ের
বাবুল গাড়িতে উঠে যান। গাড়ি গিয়ে থামে বল্লভপুর পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। সেখানে তখন তৃণমূলের উপপ্রধান মমতা প্রসাদ ছিলেন। বাবুল জানতে চান, ‘‘কেন মেটেনি জলসমস্যা? মমতাদেবী বলেন, ‘‘আমাদের তহবিলে টাকা নেই।’’ মন্ত্রী উপপ্রধানকে জলের পাইপ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দিতে বলেন। উপপ্রধান তা দিলে, মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রস্তাবটি সই করে জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেব। আমার সাংসদ তহবিল থেকে ওই কাজের জন্য ১২ লাখ টাকা অনুমোদন করলাম।’’ এর পরে দুষাদপাড়া, রঘুনাথচক ও পেপারমিল এলাকাতেও জলের দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মন্ত্রী। প্রতিবারই আশ্বাস দেন, ‘‘সমস্যার সমাধান হবে।’’ বল্লভপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান সিদান মণ্ডল বলেন, “জল প্রকল্পের জন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হবে। সাংসদ টাকা মঞ্জুর করায় আমরা খুশি। ’’