Babul Supriyo

Babul Supriyo: আমি মার খাচ্ছিলাম যাদবপুরে, বিজেপি নেতারা টিভিতে মজা দেখছিলেন: বাবুল

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জোরের সঙ্গে বললেন, যাদবপুরে কোনও ভুল তিনি করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই তাঁকে আক্রমণ করেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৫৯
Share:

ফাইল চিত্র

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক নিয়ে নতুন করে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এবিভিপি-র একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আচার্য জগদীপ ধনখড়। সেই পুরো ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতাদের তোপ দাগলেন বাবুল। বললেন, ‘‘সে দিন তো কোনও বিজেপি নেতা এগিয়ে আসেননি। বাড়িতে বসে মজা দেখছিলেন সবাই। দেখছিলেন, বাবুল কেমন মার খাচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ১৯ সেপ্টেম্বরের সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বাবুল। বললেন, ‘‘এবিভিপি-র একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে খুব সাধারণ ভাবে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী হিসাবে যাইনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টে কত বার গাইতে গিয়েছি। তাই সাধারণ নিয়মেই গিয়েছি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আমাকে আক্রমণ করেছিল। ওরা অবশ্য বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করেনি, করেছিল আমার রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু আমি মাঠ ছাড়িনি। কই এক জনও বিজেপি-র নেতা তো আসেননি সেই সময়ে। উল্টে সিপিএম-তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর করে আমাকে অস্বস্তিতে ফেলা হয়েছিল।’’

Advertisement

সে দিনের ঘটনার পর একটি ছবি উঠে আসে, যেখানে একটি বন্দুকের ম্যাগাজিন মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাই নিয়ে বাবুল বললেন, ‘‘আমার সঙ্গে তো জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। ওদের একটি বন্দুকের ম্যাগাজিন খুলে পড়ে গিয়েছিল। সেটা নিজে এসে ফেরত দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ওঁর সঙ্গে আমার একটা ছোট তর্ক হয়েছিল। আমি উপাচার্যকে বলেছিলাম, যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে চাই। উপাচার্য আমাকে বলেছিলেন, দোতলায় উঠে ওঁর সঙ্গে বসতে। আমি যেতে চাইনি।’’ তবে বাবুল স্বীকার করেছেন, সে দিনের ঘটনাক্রমে তিনিও উত্তেজিত হয়ে প়ড়েছিলেন। সামান্য তর্কও হয়েছিল উপাচার্যের সঙ্গে। তবে এ কথাও তিনি জোরের সঙ্গে বললেন, যাদবপুরে কোনও ভুল তিনি করেননি। চুল টানার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বাবুলের মন্তব্য, ‘‘ওই ছেলেটা, যে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মেরেছিল, তার ছবি, পরিচয় সব আমার কাছে আছে। ঘটনার পরের দিন ওই পড়ুয়ার মা আমাকে ফোন করেছিলেন। বলেছিলেন, ওকে যেন ক্ষমা করে দিই। আমি তো আজ পর্যন্ত কোনও পুলিশে অভিযোগ করিনি। ক্ষমা করেছিলাম। কী হল? শতরূপ ঘোষ, ওই বামপন্থী! তিনি ছেলেটাকে বসিয়ে বললেন, যত বার বাবুল-সুপ্রিয় আসবে, তত বার চুলের মুঠি ধরে টানব।’’সাক্ষাৎকারে বামেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও একটি প্রশ্ন এসেছিল। শতরূপ প্রসঙ্গ টেনে বাবুল বললেন, ‘‘এই জন্যই বামেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement