Baguiati double murder

কেন খুন? কোন অস্ত্রে খুন? জানতে ১৪ দিনের সিআইডি হেফাজত সত্যেন্দ্রর, হত্যার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

শুক্রবার হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করার পর সত্যেন্দ্রকে বারাসতের আদালতে তোলা হয়। সত্যেন্দ্রর ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করে সিআইডি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:৫০
Share:

হিন্দুবিদ্যাপীঠের দুই মাধ্যমিকের ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে খুনের অভিযোগ রয়েছে সত্যেন্দ্রর বিরুদ্ধে।

সত্যেন্দ্র চৌধুরিকে আগামী ১৪ দিন হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিআইডি। কেন তিনি বাগুইআটির দুই কিশোরকে খুন করেছিলেন, কী ভাবেই বা সেই খুনের পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন, কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল হত্যার জন্য, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চাইবে সিআইডি। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে সত্যেন্দ্রকে নিয়ে গিয়ে ঘটনাটির পুনর্নির্মাণও করা হবে।

Advertisement

শুক্রবার হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করার পর সত্যেন্দ্রকে বারাসতের আদালতে তোলা হয়। সত্যেন্দ্রের ১৪ দিনের হেফাজত চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করে সিআইডি। পাল্টা সত্যেন্দ্র তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য আদালতের কাছে সরকারি আইনজীবী চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সত্যেন্দ্রের জন্য সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করলে তিনি সত্যেন্দ্রের জামিনের আর্জি জানান আদালতে। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, সত্যেন্দ্রই যে খুন করেছেন, তার কোনও প্রমাণ নেই। কারণ খুনের ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। অন্য দিকে, সিআইডি জানায়, বাগুইআটির ওই দুই ছাত্রকে কেন খুন করা হয়েছে, কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা জানতে সত্যেন্দ্রকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা জরুরি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ১৪ দিন সিআইডি হেফাজতেই থাকবেন সত্যেন্দ্র।

উল্লেখ্য, গত ২২ অগস্ট হিন্দুবিদ্যাপীঠের দুই মাধ্যমিকের ছাত্র অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে খুনের অভিযোগ ওঠে সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে। অতনুদের বাড়ির পাশেই সত্যেন্দ্রের শ্বশুরবাড়ি। অতনুর পরিবারের সঙ্গেও চেনাশোনা ছিল সত্যেন্দ্রের। এলাকায় বাইকের দালালি করা সত্যেন্দ্রকে অতনু ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল একটি বাইক কিনে দেওয়ার জন্য। অতনুর পরিবারের অভিযোগ, সেই বাইক সত্যেন্দ্র কিনে দেননি। টাকাও ফেরত দেননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেই টাকা বার বার ফেরত চাওয়াতেই অতনুকে নিয়ে গত ২২ অগস্ট একটি বাইকের শোরুমে যান সত্যেন্দ্র। পুলিশের অনুমান, তার কিছু পরেই খুন করা হয় অতনু এবং তার তুতো ভাই অভিষেককে।

Advertisement

পুলিশ এই মামলায় ইতিমধ্যেই সত্যেন্দ্র-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, সত্যেন্দ্র তাঁদের অতনুকে খুন করার বরাত দিয়েছিল। এমনকি, কাজ হলে লক্ষাধিক টাকায় পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। যদিও ৫০ হাজার টাকা না দেওয়ার জন্য সত্যেন্দ্র কেন লক্ষ টাকার খুনের বরাত দিয়েছিল, তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা। সিআইডি সূত্রে খবর, ১৪ দিনের হেফাজতে সত্যেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হবে, খুনের আসল কারণ কী, কী ভাবেই বা গোটা পরিকল্পনাটি সাজানো হয়েছিল। তার সঙ্গে প্রকাশ্যে আসবে খুনের প্রকৃত কারণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন