Bengal Recruitment Case

আসতে পারলেন না বিচারক, পার্থের জামিন মামলায় রায় ঘোষণা হল না, আরও ছ’দিনের অপেক্ষা

সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, তাঁর নেতৃত্বেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। তিনিই ছিলেন ‘মূল মাথা’। তাঁর তৎকালীন ওএসডি-ও গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই এখন জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে, এই যুক্তিতেই জামিনের বিরোধিতা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৮
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

বিচার ভবনে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন নিয়ে রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু বিচারকই না আসায় শেষমেশ তা হল না। আগামী ১৭ এপ্রিল ওই মামলায় রায় ঘোষণা হতে পারে। অর্থাৎ, পার্থ জামিন পাচ্ছেন কি না, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ছ’দিন।

Advertisement

শুক্রবারই সিবিআইয়ের মামলায় পার্থের জামিন সংক্রান্ত রায় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে শুক্রবার আদালতে আসেননি বিচারক। তাই পিছোতে হয়েছে রায় ঘোষণা। আগামী ১৭ এপ্রিল এ বিষয়ে রায় জানাতে পারে আদালত।

গত ৩ এপ্রিল পার্থের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়। সে দিনও আদালতে পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী দাবি করেছিলেন, ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই জানেন না তাঁর মক্কেল। এ ছাড়া, পার্থের বিরুদ্ধে সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল, তাতেও এ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগের উল্লেখ নেই। বিপ্লব বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন এই মামলায় ওঁর নাম আসেনি। কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। তা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ওঁকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। অথচ বাকিদের অনেকেই অল্প সময় হেফাজতে থাকার পর ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।’’ এর পরেই যে কোনও শর্তে পার্থের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুক্রবার ওই মামলাতেই রায় ঘোষণার কথা ছিল।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করা হয় ২০২২ সালে। প্রাথমিক মামলায় গত বছরের অক্টোবরে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তার ছত্রে ছত্রে রয়েছে পার্থের নাম। প্রাথমিকে ইডির মামলা থেকে আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থ। তবে সিবিআইয়ের মামলা এখনও চলছে। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ‍্যা ১১ জন। তার মধ্যে ৮ জন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। শুধু পার্থের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, তাঁর নেতৃত্বেই নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। তিনিই ছিলেন ‘মূল মাথা’। তাঁর তৎকালীন ওএসডি-ও গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তাই এখন জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে, এই যুক্তিতেই জামিনের বিরোধিতা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement