Sovan Baishakhi

শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় প্রধান সাক্ষী বৈশাখী! হলফনামা জমা দিলেন আলিপুর আদালতে

২০১৭ সাল থেকেই শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই প্রথম সেই মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বৈশাখী। আগামী ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি। সে দিনও বৈশাখী আসবেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮
Share:

শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বৈশাখী। ফাইল চিত্র।

শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানিতেও সাক্ষ্য দিতে আসতে হবে বৈশাখীকে। তিনি আসবেন বলেও জানিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ মতো শুক্রবার নিজের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামাও জমা দেন শোভন-বান্ধবী।

Advertisement

অনেক দিন ধরেই কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন বিবাহবিচ্ছেদের মামলা লড়ছেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তিনি আলিপুর আদালতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী। আদালতে এসেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্নাও। শুক্রবারের সাক্ষ্য প্রসঙ্গে বৈশাখী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমায় আদালত ডেকেছিল। আমি এসেছি। বরাবরের মতো এ দিনও কয়েক জন লোককে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন রত্নাদেবী। আদালতে যা বলার বলেছি। পরের শুনানির দিনেও যাব।’’

অন্য দিকে শোভন বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই মামলা চলছে। আমি বিচ্ছেদ চাই। গোটাটাই আইনের বিষয়। আদালত যা যা বলবে তা করতে এবং মানতে আমরা তৈরি।’’ এ বিষয়ে রত্নার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও মোবাইলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন শোভন। স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময়ে শোভন-রত্না সম্পর্ক নিয়ে একাধিক বার মুখ খোলেন বৈশাখী। প্রকাশ্যেই জানান, দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিভিন্ন আর্থিক বিষয়েও বনিবনা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে।

২০২১ সালের দুর্গাপুজোর সময় শোভন-বৈশাখী সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়। দশমীর দিন বৈশাখীকে সিঁদুর পরান শোভন। সেটা কি স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি? এমন প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখী তখন বলেছিলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব কোনও দিন ছিল না।’’এর পরে রত্না বলেন, ‘‘হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না।’’ সেই সঙ্গে রত্না যোগ করেন, ‘‘স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তা হলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ ‘রক্ষিতা’ বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরালেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন