Baishali Dalmiya

বৈশালী ডালমিয়ার ছেলে আক্রান্ত, রাস্তায় ফেলে দুষ্কৃতীরা পিটিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ

নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও বৈশালীর দাবি, তিনি ভোটে লড়ার জন্যই ছেলের উপরে হামলা। রাজ্য সরকারের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ ১৫:১৮
Share:

ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া বালির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার ছেলের উপরে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অবশ্য অভিযোগ তোলেননি বৈশালী। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বাজার সেরে গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর ছেলে। আচমকাই কয়েক জন মিলে আক্রমণ চালায়। গাড়ির কাচ ভেঙে তাঁর ছেলের পেটে ঢুকে যায়। চোখেও আঘাত লেগেছে। মুখের বেশ কয়েক জায়গা কেটে যায়। নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না করলেও বৈশালীর দাবি, তিনি ভোটে লড়ার জন্যই ছেলের উপরে হামলা। রাজ্য সরকারের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

বেহালা চৌরাস্তায় এই হামলা হয়েছে বলে বৈশালী অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কে বা কারা করে‌ছে আমি জানি না। খবর পেয়ে আমি যখন সেখানে যাই তখন আমাকেও মারার চেষ্টা করা হয়। ধাক্কা মেরে একটা গাড়ির সামনে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকা নয়। আমি বিশেষ কাউকে চিনিও না। হামলাকারীদের মধ্যে এক জন মহিলাও ছিলেন। ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি দেখে দ্রুত পেটের ইউএসজি করতে বলেছেন। ওর গলাতেও আঘাতের চিহ্ন। হামলাকারীদের এক জন জামা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচিয়ে ধরেছিল।’’

হামলার পরে ঘটনাস্থল থেকেই একটি ফেসবুক লাইভ করেন বৈশালী। সেখানে ‘পার্থ দা’ নামে কাউকে সম্বোধন করে অভিযোগ জানাতে শোনা যায় বৈশালীকে। পরে তিনি জানান, রাজ্যের মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে হামলার বিষয়টা জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। আতঙ্কের আবহে তিনি মনে করেছিলেন ফোনে পেয়ে গিয়েছেন। তাই কথা বলতে শুরু করেন।

Advertisement

পরে আরও এক বার ফেসবুক লাইভে আসেন বৈশালী। সেই সময় রাজনীতির বিষয় টেনে এনে প্রশ্ন তোলেন, তিনি ভোটে লড়েছেন বলেই কি ছেলের উপর এ ভাবে হামলা করা হল? একই সঙ্গে বলেন, ‘‘দিনের বেলায় একটা বাচ্চা নিরীহ ছেলেকে মারধর করে কী প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে? এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দিদি বিষয়টি দয়া করে খতিয়ে দেখুন। রাজ্যে এমন হিংসা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সত্যিই লজ্জিত যে, আমি বাংলায় থাকি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement