বালি ব্রিজের অন্ধকার ঘোচাতে এ বার উদ্যোগী হল পূর্ত দফতর। দীর্ঘ দিন ধরেই প্রায় ৮৫ বছরের পুরনো এই সেতুর দু’দিকের রাস্তাতেই আলো থাকলেও তার অধিকাংশই জ্বলতো না। ফলে অন্ধকার সেতুতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দুর্ঘটনা লেগেই ছিল।
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার থেকে সেতুর রাস্তার আলো সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। টাইমার লাগানো থাকায় প্রতিদিন বিকেল ৫টা সেতুর সমস্ত আলো জ্বলে উঠবে। আবার ভোর ৫টায় নিজে থেকেই আলো নিভে যাবে। সারানোর কাজ হয়ে যাওয়ার পরে সেতুর আলো রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব হাওড়া ও কামারহাটি পুরসভা হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান পূর্ত দফতরের এক কর্তা। তবে এ বিষয়ে পূর্ত দফতর থেকে এখনও কোনও চিঠি পাননি বলেই দাবি করেছেন দুই পুরসভার কর্তারা। হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চিঠি পাইনি। তবে দায়িত্ব পেলে আলো দিয়ে সুন্দর করে সাজানো যেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠকে যে ভাবে গুরুত্ব দেন, তাতে ওই দুই জায়গার সংযোগকারী এই সেতুর সৌন্দার্যায়ন জরুরি।’’ কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘দায়িত্ব নিতে আপত্তি নেই তবে বিষয়টি নিয়ে পূর্ত দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’
গোটা বালি ব্রিজের দু’দিকের রাস্তা মিলিয়ে মোট ৭৪টি ভেপার ল্যাম্প রয়েছে। অধিকাংশেরই আলো খারাপ গিয়েছিল নয়তো ভিতরের কয়েল নষ্ট হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে সেতুর বেহাল দশা নিয়ে খবর প্রকশিত হতেই অবশেষে নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। সেতুটির ডানলপমুখী রাস্তার দশটি এক্সপ্যানশন জয়েন্টের অবস্থাই বেহাল। রাস্তার পিচ উঠে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এর সঙ্গে আলো না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই বালি ব্রিজে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হত যানবাহন চালক থেকে পথচারীদের।
পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, রাস্তা মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। তবে কাজটি যেহেতু রেলের সঙ্গে যৌথভাবে করতে হবে তাই কিছু দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রেল প্রথমে সেতুর রাস্তার নিচে থাকা লোহার কাঠামো সংস্কারের কাজ করবে। এরপরেই রাস্তার উপরের অংশের মেরামতিতে হাত দেবে পূর্ত দফতর। তার জন্য ডিসেম্বর থেকে বালি ব্রিজের ডানলপমুখী রাস্তা বন্ধ রাখা হবে বলেই জানান ওই কর্তা।