Babul Supriyo

Babul Supriyo: নোংরা ও কুৎসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মানুষ! দিদিকে জয় উৎসর্গ বাবুলের

আসানসোলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ হয়েছে। বালিগঞ্জে জয় পেয়ে উঠেই বাবুলের মুখে ফিরে এল ছেড়ে আসা লোকসভা কেন্দ্রের নাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:৩০
Share:

বালিগঞ্জে জয়ের পর বাবুল সুপ্রিয়। ছবি— পিটিআই।

ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশের সামান্য বেশি। জয়ের ব্যবধান প্রায় কুড়ি হাজার। আপাতত এই পুঁজি নিয়েই সুব্রতের বালিগঞ্জে নতুন বিধায়ক হয়ে গেলেন আসানসোল ও বিজেপি ছেড়ে বালিগঞ্জে ঘাসফুলের প্রার্থী হওয়া বাবুল সুপ্রিয়। ভোটে জিতে বাবুল বললেন, ‘‘এই জয় দিদিকে উৎসর্গ করছি। সিপিএম, বিজেপি যে ভাবে নোংরা ও কুৎসা মিশ্রিত প্রচার করে একটা মিথ্যাচারের আবহ তৈরি করতে চেয়েছিল, মানুষ তার সমুচিত জবাব দিয়েছে। মা-মাটি-মানুষকে প্রণাম জানাই।’’

বালিগঞ্জে বাবুলই ‘সিকন্দর’ বটে। কিন্তু উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ভেসে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। যেমন, বালিগঞ্জের দু’টি ওয়ার্ডে হেরেছেন বাবুল। একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে যে সিপিএম সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাতেও কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে ফের লাল নিশানের উকিঝুঁকি টের পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু বাবুল সে সবে পরোয়ায় নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম ও বিজেপি যে ভাবে নোংরা ও কুৎসার প্রচার চালিয়ে এলাকায় একটা মিথ্যাচারের আবহ তৈরি করতে চেয়েছিল, মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। দিদি, অভিষেক’ভাই, সব দিক থেকে আমাকে সমস্ত রকম সাহায্য করেছেন। নিম্নমানের রাজনীতির বিরুদ্ধে আজকের মানুষের রায় দেখে আশা করি বিরোধীরা শিক্ষা নেবে।’’ পাশাপাশি যে দুটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন বাবুল, পার্টি তা নিয়েও পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছেন বাবুল।

Advertisement

বাবুল আসানসোল নিয়েও কথা বলেছেন। বালিগঞ্জের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক বলেন, ‘‘আসানসোলের মানুষ প্রমাণ করে দিলেন, বাবুল সুপ্রিয় ওখানে কাজ করেছিল, সেই বাবুল সুপ্রিয়কেই ওঁরা জিতিয়েছিলেন। নিজের ক্ষমতায় ওখানে জিতেছিলাম। একে ভুল প্রমাণ করতে বিজেপি-র কুঁয়োর ব্যাঙগুলো এবং বাঙালি কাঁকড়া সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল। কিন্তু মানুষ লক্ষাধিক ভোটে শত্রুঘ্ন’জিকে জিতিয়েছেন। আসানসোলের মানুষের অভিমানটা খুব সঠিক। ওঁরা বলতেন, দলের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় আপনি দল ছেড়েছেন, কিন্তু আপনি এমপি পদটা কেন ছাড়লেন? আমারও খারাপ লেগেছিল। সেই জন্য আমি মনে করি, এটা একটা পোয়েটিক জাস্টিস হল। শত্রুঘ্ন’জির সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়। জমাটি মানুষ। শিরদাঁড়া সোজা মানুষেরাই বিজেপি-র বিরুদ্ধে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে। উনি বার বার বলেন, তুমি হাতের তালুর মতো আসানসোলকে চেনো। আগামী দিনে আমরা দু’জনে মিলে দিদির নেতৃত্বে আসানসোলের সব কাজ করব। শত্রুঘ্ন’জির সঙ্গে মিলিত ভাবে লোকসভা ও বিধানসভায় অত্যন্ত ভাল কাজ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন