নাচে ব্যস্ত তিতিসা। নিজস্ব চিত্র।
চার বছর বয়স থেকে গান শুনলেই দুলে দুলে নাচতে শুরু করত তিতিসা। দশ বছরের সেই মেয়েই এ বার আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে যোগ দিতে চলেছে মরিশাসে।
কালনার অম্বিকা মহিষমর্দিনী ইনস্টিটিউশনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তিতিসা ঘোষের বাড়ি বড়মিত্রপাড়ায়। তার বাবা নিতাই ঘোষ স্থানীয় হিমঘরের কর্মী। প্রতিবেশিরা জানান, ছোটবেলা থেকেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নাচত তিতিসা। আগ্রহ দেখে শহরেরই অনামিকা সাউ নামে এক নৃত্যশিল্পীর কাছে মেয়েকে তালিম নিতে পাঠান বাবা। ঘুঙুরের সঙ্গে আত্মীয়তা সেই থেকেই। বছর খানেক পরে হুগলির মগরা এলাকার শিল্পী অঞ্জু ভট্টাচার্যের কাছে নাচ শিখতে শুরু করে তিতিসা। পাঁচ বছর বয়স থেকেই সরকারি, বেসরারি নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সফল হয়। ২০১৩ সালে ওড়িশার কটকে জাতীয় থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে কত্থক নৃত্যে দ্বিতীয় স্থান পায় সে। রাজ্য শিশু-কিশোর উৎসবে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ধ্রুপদী নৃত্য বিভাগেও যোগ দেয়। এলাহাবাদে প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতির প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়। দেশের নানা জায়গার প্রতিভাবান শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মহারাষ্ট্রের নান্দে শহরে নৃত্য উৎসবেও নজর কাড়ে কালনার এই শিল্পী।
তিতিসার বাবা নিতাইবাবু জানান, নিফা (এনআইএফএফএ) নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ২৫ এবং ২৬ জুন মহারাষ্ট্রের ‘সপ্তরং ডান্স ফেস্টিভ্যালে’ জুনিয়রদের কত্থক প্রথম হয় মেয়ে। এরপরেই ওই সংস্থা তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে যোগদানের ছাড়পত্র দেয় তিতিসাকে। ১লা জুলাই চিঠি দিয়ে তারা জানায়, মরিশালে ওই প্রতিযোগিতা হবে ২৬ এবং ২৭ জুলাই। নিতাইবাবু বলেন, ‘‘দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে তিতিসা ছোট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মেয়ে নাচার সুযোগ পাওয়ায় বাবা হিসাবে আমি গর্বিত। মেয়ের সাফল্যের মূল কারিগর ওর গুরুজি।’’ আর তিতিসা বলে, ‘‘মন ঢেলে নাচব ওখানে।’’