নিয়ামতপুরে পুলিশকর্মীকে নিগ্রহ। নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায় গাড়ি আটকে তল্লাশি করার সময়ে দুই যাত্রীর হাতে প্রহৃত হলেন এক পুলিশকর্মী। সোমবার সকালে কুলটির নিয়ামতপুরে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা বিহারের বাসিন্দা। তাদের গাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে গাঁজা ও মদ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিনের মতো সোমবারও নানা এলাকার রাস্তায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিয়ামতপুরে ধর্মশালার কাছে জিটি রোডে গাড়ি তল্লাশি করছিলেন এক সাব ইনস্পেক্টর। তখন আসানসোলের দিক থেকে বিহার পরিবহণ দফতরের নম্বর লাগানো একটি গাড়ি বরাকরের দিকে যাচ্ছিল। কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মী তল্লাশির জন্য গাড়িটি দাঁড় করান। অভিযোগ, তিনি চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইতেই আচমকা গাড়ি থেকে দু’জন নেমে এসে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। পুলিশকর্মীকে এ ভাবে নিগৃহীত হতে দেখে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। তাঁরাই ওই সাব ইনস্পেক্টরকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তদের পাকড়াও করেন। এর ফাঁকে গাড়ির চালক পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তোষকুমার নিরালা ও শৈলেন্দ্র কুমার। তারা গয়া জেলার টিকড়ি থানার অন্তর্গত কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর গাঁজা ও মদ মিলেছে। গাড়িটির সামনের কাচে বিহার বিধানসভার একটি স্টিকার লাগানো রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বজিৎ মাহাতা। তিনি বলেন, ‘‘গাড়ি থেকে নেশার দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযোগে ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’ ওই গাড়িতে বিহার বিধানসভার যে স্টিকার লাগানো রয়েছে সে প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎবাবু জানান, গাড়ির নম্বর ধরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখা হচ্ছে। গাড়ির মালিকের খোঁজ হচ্ছে। বিহার বিধানসভার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত কি না, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।