Galsi

ফের গলসিতে মিলল দুই ড্রামে ২৫টি বোমা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে চালকলের শ্রমিকদের বোনাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি জাকির হোসেন ও ব্লক যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তেতে উঠেছিল ভাসাপুল লাগোয়া সিংপুর গ্রাম। বোমাবাজিও হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২১
Share:

উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র।

ফের বোমা উদ্ধার হল গলসিতে। বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে গলসি ১ ব্লকে ভাসাপুল গ্রামের পাশে ডিভিসি সেচখাল লাগোয়া ঝোপ থেকে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি ২৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।

Advertisement

এর আগেও এই ব্লকের করকডাল, সোদপুর, রামনগর-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি ভাসাপুলের আশেপাশে আরও কোনও জায়গায় বোমা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিশ। পুলিশের দাবি, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতেই সেচখালের পাশে তল্লাশি চালানো হয়। প্রথমে এক ড্রাম তাজা বোমা উদ্ধার হয়।। ভোরের দিকে আরও একটি ড্রাম উদ্ধার হয়। তাতেও বোমা মজুত ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে চালকলের শ্রমিকদের বোনাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি জাকির হোসেন ও ব্লক যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে তেতে উঠেছিল ভাসাপুল লাগোয়া সিংপুর গ্রাম। বোমাবাজিও হয়। একাধিকবার পাশের গ্রাম সুজাপুরেও দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানেননি।

Advertisement

জাকির হোসেন বলেন, “গ্রাম থেকে অনেক দূরে মজুত করা ছিল বোমাগুলি। আমরা মনে হয়, দুষ্কৃতীদের কাজ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।” রাজনীতির যোগ আছে বলে মানতে রাজি নন পার্থবাবুও। তিনি বলেন, “পুলিশ তদন্ত করছে। যারা বোমাগুলো মজুত করে রেখেছিল, আশা করি, তারা ধরা পড়বে। তবে আমি নিশ্চিত এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।” বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি রাজু পাত্রের অভিযোগ, “বোমাগুলি তৃণমূলই মজুত করেছিল এটা আমরা নিশ্চিত। বিধানসভা ভোটে ব্যবহার করার জন্যই মজুত করা হয়েছিল।” গলসি থানার দাবি, ২৫টি তাজা বোমা ছিল। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল, তা দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন