প্রতীকী ছবি।
আটকে থাকা চার পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করল পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মল্লিকপুর গ্রামের চার পরিযায়ী শ্রমিককে ভিন্জেলায় আটকে রাখা হয়েছিল। পরিবারের কাছে অভিযোগ পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে আনল ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ।
আউশগ্রামের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা আকাশ লোহার, ছোট্টু লোহার, কমল লোহার ও মিঠুন লোহার নামে ওই চার যুবক স্থানীয় এক ব্যক্তি রাখাল কোরার মাধ্যমে যোগাযোগ করে অসমের গুয়াহাটি গিয়েছিলেন। সেখানে বাগান পরিচর্যার কাজের কথা বলা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু গুয়াহাটি থেকে তাঁদের অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। এর পর ওই চার জন লোকাল ট্রেন ধরে বাড়ি পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু দালাল চক্রের লোকজন তাঁদের ধরে ফেল। অভিযোগ, ট্রেন থেকে নামিয়ে মালদহের প্রত্যন্ত কোনও গ্রামে তাঁদের আটকে রেখে ‘মুক্তিপণ’ দাবি করা হয়। চার যুবকের পরিবারের লোকজন ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতেই আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ উদ্ধার করে আনল ওই চার পরিযায়ী শ্রমিককে। পুলিশের তৎপরতায় আউশগ্রামের মল্লিকপুর গ্রামের ওই চার যুবককে উদ্ধারের পর স্বস্তিতে পরিবারের লোকজন।
ওই চার যুবক আগে গুজরাতে কাজ করতেন। মাস তিনেক আগে বাড়ি ফেরেন। এর পর ওই গ্রামেরই বাসিন্দা রাখাল কোরার মাধ্যমে অসমের গুয়াহাটি শহরে বাগান পরিচর্যা করার জন্য কাজের কথা বলা হয়। রামনগর পঞ্চায়েতের সদস্য সুব্রত পাল বলেন, ‘‘চার যুবককে কাজে নিয়ে যাওয়ার আগে ১০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল। চার দিন আগে ওরা ট্রেন ধরেছিল। ওরা গুয়াহাটি থেকেই ফিরে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু ওদের আটকে দেওয়া হয়। এর পর ফোন করে বাড়িতে বলা হয়, এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা না দিলে ওদের ছাড়া হবে না। আমি জানতে পারি। পরিবারকে বলি পুলিশকে জানাতে।’’