তৃণমূলের অফিসে চড়াও হয়ে মারধর, ভাঙচুর ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল লাউদোহা (ফরিদপুর) থানার পুলিশ। রবিবার পুলিশের দাবি, ওই ঘটনার নেপথ্যে তোলাবাজি সংক্রান্ত গোলমালও থাকতে পারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ লাউদোহার গোগলা এলাকার তৃণমূলের অফিসে বসেছিলেন জনা ছয়েক কর্মী। কয়েকটি মোটরবাইকে এক দল দুষ্কৃতী এসে বাইরে রাখা গাড়ি, মোটরবাইক ভাঙচুর করে। আওয়াজ শুনে তৃণমূল কর্মীরা বেরিয়ে এলে তাঁদের উপরে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন বাবন ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মী। জখম হন আরও দু’জন। তিন জনকেই গোগলা এলাকার ইসিএলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ধৃতদের ফের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। ধৃতেরা সকলেই দান্নো ও মাধাইপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাইপুর কোলিয়ারিতে কয়লা পরিবহণের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। কোলিয়ারিতে কয়লা পরিবহণের দায়িত্ব পেয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের দান্নো গ্রামের কয়েক জন। শনিবার মাধাইপুর এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক জন গিয়ে কাজ দেওয়ার দাবি জানিয়ে কয়লা পরিবহণের কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। পরে আলোচনায় বসেও মীমাংসা সূত্র বের হয়নি। এর খানিক বাদেই তৃণমূল অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, পরিবহণের দায়িত্ব পাওয়া দান্নো গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পরিবহণ চালু রাখার জন্য মাধাইপুরের কয়েক জন ‘তোলা’ চেয়েছে। এলাকার তৃণমূলকর্মী অভিমন্যু গোস্বামীর অভিযোগ, ওই কার্যালয় থেকে কয়েক জন বিভিন্ন বেআইনি কাজে মদত দিচ্ছেন। যদিও এ সব মিথ্যে অভিযোগ বলে দাবি করেছেন লাউদোহার ব্লক তৃণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায়।