—প্রতীকী ছবি।
কোনও শান্তশিষ্ট, নম্র স্বভাবের মেয়েকে আমরা স্নেহ করে লক্ষ্মীমন্ত তকমা দিয়ে থাকি। কিন্তু শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মীদেবী অত্যন্ত চঞ্চলা। বাড়িতে যদি এমন কোনও কাজ করা হয় যা তাঁর অপছন্দ, তা হলে তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তবে এতে দোষ আমাদেরই থাকে। আমরাই নিজেদের অজান্তে এমন কিছু কাজ করে থাকি যার জন্য দেবী লক্ষ্মী বাড়ি থেকে বিদায় নেন। কেবল বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই হবে না, বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলি করলেও রুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। তাঁর আশীর্বাদের হাত আমাদের উপর থেকে তুলে নেন। সেই কাজগুলি কী জেনে নিন।
কোন কাজগুলি করলে দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হন?
১. অলসতা: দেবী লক্ষ্মী অলসতা মোটে পছন্দ করেন না। অলস ব্যক্তিদের উপর কখনও দেবী লক্ষ্মীর কৃপা থাকে না বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে যাঁরা বেলা পর্যন্ত ঘুমোন ও সূর্যাস্তের সময়ও শুয়ে থাকেন, তাঁদের ভাগ্যে লক্ষ্মীশ্রী স্থায়ী হয় না। দেবী লক্ষ্মীর কৃপা থেকে এঁরা বঞ্চিত হন।
২. হাতে করে নুন দেওয়া বা নেওয়া: কেউ নুন চাইলে বা কারও থেকে নুন নিলে হাতে করে দেওয়া-নেওয়া করতে নেই। অনেক মানুষই এটা করে থাকেন। এতে লক্ষ্মীদেবী রুষ্ট হন। কাউকে নুন দেওয়া বা নেওয়ার সময় সর্বদা একটা বাটিতে করে সেটি করা উচিত। যে ব্যক্তি আপনার কাছে নুন চাইছেন তাঁকে নিজের হাতেই বাটিটি তুলে নিতে হবে। হাতে হাতে নুনের আদানপ্রদান করা এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. এঁটো মুখে পড়াশোনা করা: বাচ্চা থেকে বড়, অনেকেই খেতে খেতে পড়াশোনা করেন। অনেক সময় খেয়ে মুখ না ধুয়েই পড়তে বসে যান অনেকে। এই কাজে বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী ক্ষুণ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেবী লক্ষ্মী রুষ্ট হন। কেবল যিনি এই কাজটি করছেন তাঁর উপরেই নয়, পুরো পরিবারের উপরই রুষ্ট হন দেবী। এই স্বভাব পরিবর্তন না করলে বাড়ি ছেড়ে দেবী বিদায় নেন।
৪. খাবার ছেড়ে উঠে যাওয়া: বহু মানুষই কোনও বিষয়ে রাগ করলে বা কাজের তাড়ায় খাবার ছেড়ে উঠে যান। খাবার খেতে খেতে উঠে যাওয়া বা সেটির উপর রাগ দেখানো অত্যন্ত খারাপ বিষয়। এর ফলে পরিবারে অন্নাভাব দেখা দেয়। যে পরিবারে ঘন ঘন এমনটা হয়, মা লক্ষ্মীর কোপের বশে সেখানে কারও উন্নতি হয় না।
৫. রাতে চুল ও নখ কাটা: রাতে চুল বা নখ কাটা শুভ বিষয় নয়। এই কাজটি করলেও রুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। অনেকেই আজকাল সময়ের অভাবে রাতে নখ, চুল কাটেন। কিন্তু এই কাজটি এড়িয়ে চলাই নিজের জন্য ভাল হবে।