জোড়া খুনে ধৃত আরও ৫

ভোটের পরের দিনই খণ্ডঘোষের লোধনা গ্রামে খুন হয়ে গিয়েছিলেন এক সিপিএম এজেন্ট ও দলেরই এক প্রবীণ কর্মী। দু’জনকে ধরা হয়েছিল আগেই। রবিবার রাতে সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও পাঁচ জনকে। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে লোধনা গ্রাম থেকেই ওই পাঁচ জন, কুরবান আলি, শেখ সমসের আলি, জামির হোসেন, জাকির হোসেন এবং মুজিবর হোসেনকে ধরা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১০
Share:

লোধনায় ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র।

ভোটের পরের দিনই খণ্ডঘোষের লোধনা গ্রামে খুন হয়ে গিয়েছিলেন এক সিপিএম এজেন্ট ও দলেরই এক প্রবীণ কর্মী। দু’জনকে ধরা হয়েছিল আগেই। রবিবার রাতে সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও পাঁচ জনকে।

Advertisement

খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে লোধনা গ্রাম থেকেই ওই পাঁচ জন, কুরবান আলি, শেখ সমসের আলি, জামির হোসেন, জাকির হোসেন এবং মুজিবর হোসেনকে ধরা হয়েছে। সোমবার আদালতে তোলা হলে প্রথম দু’জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক। বাকিদের ৯ মে পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়েছে। পাঁচ জনই তৃণমূল সমর্থক বলেও পুলিশে দাবি। ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছিল তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন, দাঙ্গা লাগানোর জামিন অযোগ্য ধারা জারি হয়েছে।

গত শুক্রবার বুথের দায়িত্ব সামলে ফেরার পথে ওই বুথ এজেন্ট শেখ ফজল হক ও দুখিরাম ঢাল নামে এক কর্মীকে ঘিরে ধরে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-সহ তিরিশ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব ওই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। খুনের পর তাঁদের দেহ সিপিএমের পার্কার্স রোডের জেলা কার্যালয়ে এনে শ্রদ্ধাও জানান নেতারা।

Advertisement

তবে ধৃতরা তৃণমূল সমর্থক বলে মানতে চাননি খণ্ডঘোষের ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলোক মাঝি। তিনি বলেন, ‘‘গ্রাম্য বিবাদে দুই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। পুলিশ আমাদের লোক বললেই হবে না কি? পুলিশের কথার কোনও ভিত্তি নেই।’’ সিপিএমের যদিও দাবি, ধৃতেরা সবাই তৃণমূলেরই লোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন