খাবারে ‘টিকটিকি’, অসুস্থ পঞ্চাশ পড়ুয়া

দুপুরের দিকে পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল খেতে বসেছিল। অভিভাবকদের দাবি, সেই সময় এক পড়ুয়ার খাবারে একটি মরা টিকটিকি দেখতে পাওয়া যায়। তা দেখে সহপাঠীরা বমি করতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৯
Share:

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি পড়ুয়ারা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠল কাঁকসার মোল্লাপাড় প্রাথমিক স্কুলে। বুধবার দুপুরের ঘটনা। অসুস্থ প্রায় ৫০ জন পড়ুয়াকে পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ৩৫ জন ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দুপুরের দিকে পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল খেতে বসেছিল। অভিভাবকদের দাবি, সেই সময় এক পড়ুয়ার খাবারে একটি মরা টিকটিকি দেখতে পাওয়া যায়। তা দেখে সহপাঠীরা বমি করতে শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। অভিভাবক রহিমা বিবি, শেখ জলিলের অভিযোগ, ‘‘স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে আমাদের ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রান্নাঘর পরিষ্কার না থাকার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে।’’ অভিভাবকেরা জানান, যে ভাবে ছেলেমেয়েরা বমি করছিল, তাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এ দিকে, খবর পেয়ে স্কুলে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফ থেকে দ্রুত একটি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। চিকিৎসক সামসুদ আলম জানান, আপাতত ৩৫ জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

ঘটনার কথা শুনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় ও বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। প্রভাতবাবু বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল রান্নার বিষয়ে আরও সজাগ থাকা দরকার। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না হয়, সেদিকেও নজর রাখা দরকার।’’ যদিও এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘ঘটনার সময় তিনি স্কুলে ছিলাম না। কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন যেন না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হবে।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন